শিলিগুড়ি: ব্যক্তি মালিকানার দাবিতে বুধবার প্রতীকী বনধের ডাক দিয়েছিলেন শিলিগুড়ি বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সেইমতো এদিন এই দাবিতে অন্দোলনে শামিল হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও বড়সড়ো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপী সাহা বলেন, ‘ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের দাবি সকলকে জানিয়ে আসছিলাম। মাঝে কিছুদিন সময় দিয়েছিলাম প্রশাসনকে। কিন্তু এটাকে সবাই ভেবে নিয়েছে আমাদের আন্দোলন শেষ। তাই আমরা আরও তীব্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিতে চাই যে, আমরা এই দাবি থেকে সরছি না।’
১৯৬২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় পূর্ববাংলা থেকে আগত উদ্বাস্তুদের জন্য এই মার্কেট তৈরি করেছিলেন। সেই সময় ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স তুলে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কথা ছিল ১০ বছর ব্যবসা চালানোর পর মালিকানা দেওয়া হবে। কিন্তু ওই সময়ের আগেই বিধানচন্দ্র রায় মারা যাওয়ায় মালিকানা অধরাই থাকে। যা আজও মেটেনি। বাপিবাবু বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে অন্তত ৭৫টি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসজেডিএ থেকে ঠিকঠাক একটা উত্তর আজ পর্যন্তও মেলেনি। দোকান ভেঙে গেলেও দেখতে আসেন না কেউ। অথচ কেউ নিজের উদ্যোগে দোকান সারাইয়ে হাত দিলেই নোটিশ, গুঁড়িয়ে দেবার হুমকি দেওয়া হয়। এভাবে আর কতদিন। তাই এই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।’
চলতি বছর ১৬ মে এই দাবিতে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। তিনদিন চলেছিল অবস্থান। সেই সময় ব্যবসা বনধের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর কখনও মৌন মিছিল, কখনও মন্ত্রীর সঙ্গে দরবার, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক ধারাবাহিকভাবে চলেছে। যদিও ব্যবসায়ীদের মূল দাবি এসজেডিএ-র কাছে। যদিও এসজেডিএ বাকি সমস্ত কাজের কথা বললেও মালিকানা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে রাজি নয়।