উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে সোমবার রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টে। রায় ঘোষণার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা। জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বহু মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সব কয়টি মামলাকে একত্রিত করে সম্প্রতি শুনানি শুরু হয়। সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে।
২০১৯ সালে কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করে। জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে গত ২ জুলাই থেকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও এই সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত। সরকারি আইনজীবীরা জানান, জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সেখানে ভোট হবে। ফেরানো হবে রাজ্যের মর্যাদা। ৫ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে রায় দেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। রায় ঘোষণার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা। যে কোনও পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর পুলিশ ও সেনা। সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরেও কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক কিংবা সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কোনও পোস্ট করা যাবে না। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, কাশ্মীরের বিজেপি বিরোধী দলগুলির দাবি, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনা হোক। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি জানান, বিজেপি সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার নীতি যে অবৈধ ছিল, আদালতের রায়েই তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়া উচিত। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা জানান, রায় যেমনই হোক, তাঁর দল কাশ্মীরের শান্তিকে বিঘ্নিত করবে না।