রায়গঞ্জ: মোবাইল ফোনেই তিন তালাক (Triple Talaq) ঘোষণা করেছিলেন স্বামী। আর তার বিরুদ্ধেই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন রায়গঞ্জের এক গৃহবধূ। গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামী নুর আলম শেখ পেশায় নির্মাণ শ্রমিক (Construction Worker)। এদিন সকালে মোবাইলে কথা বলার সময় তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। এরপরে স্ত্রীকে ফোনেই তিন তালাক দিয়ে দেয় স্বামী। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামের মোড়লদের সহায়তায় ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যদিও তিন তালাকের কোনও বৈধতা না থাকায় পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ।
বধূর দাবি, তিন বছর আগে দেখাশোনা করে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ টাকা ও দানসামগ্রীও দিয়েছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের (Dowry) জন্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত। কয়েক দিন আগেও ১ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপরই ফোনে তালাক দিয়ে দেয় স্বামী। যদিও এই তালাক মানতে অস্বীকার করেছেন ওই গৃহবধূ। তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চান তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সানা আক্তার জানান, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।