উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পড়াশোনায় একদমই মন বসছে না? রোজকার ছোটখাটো বিষয়গুলোও ভুলে যাচ্ছেন? বা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে থাকছে না? এই সমস্যাগুলো অনেকের ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। নানা কাজের চাপ, ব্যস্ততায় কম বয়সেই স্মৃতিনাশের মতো মানসিক রোগ হানা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, মনের উপর চাপ কমাতে এবং বুদ্ধির গোড়ায় শান দিতে কিছু যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করতে হবে। যোগাসন ঠিকমতো রপ্ত করতে পারলে, মন-মেজাজও ফুরফুরে থাকবে। নিয়মিত কী কী যোগাসন করবেন?
পদহস্তাসন– এই আসনটিও একাগ্রতা বাড়ানোর জন্য খুব ভালো। ব্যায়ামটি করার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের মধ্যে দূরত্ব রাখুন। এ বার শ্বাস নিতে নিতে হাত দু’টো উপরের দিকে তুলুন। ধীরে-ধীরে শ্বাস ছাড়তে-ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। হাত দিয়ে গোড়ালি স্পর্শ করুন। খেয়াল রাখবেন, হাঁটু যেন না ভাঙে, টানটান থাকে। ২০-৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।
বৃক্ষাসন– সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের দুটি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। তারপর শরীরের ভারসাম্য রেখে নিজের ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতাটি বাম পায়ের ঊরুর উপর আনুন। ধীরে-ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে সমানভাবে মাথার উপর নিয়ে যান। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকুন।
সুখাসন– সহজ ও আরামদায়ক ভঙ্গিমায় করা হয় বলেই এই আসনের নাম সুখাসন। পা মুড়ে আরাম করে বসে এই ব্যায়াম করতে হয়। ম্যাটের উপর আগে সোজা হয়ে বসুন। তারপর দু’পা সোজা করে সামনে ছড়িয়ে দিন। ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর নীচে নিয়ে আসুন। একই ভাবে বাঁ পা মুড়ে ডান ঊরুর নীচে রাখুন। দু’হাতের আঙুল জ্ঞানমুদ্রার ভঙ্গিতে দুই হাঁটুর উপর রাখুন। এই আসন নিয়মিত করলে শরীর মনের ক্লান্তি দূর হয়।
সর্বাঙ্গাসন– চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এবার দু’হাতের তালুতে কোমরের ভর দিয়ে পিঠ এমনভাবে ঠেলে তুলুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে। ৩০ সেকেন্ড এভাবে থেকে শবাসনে বিশ্রাম নিন। তিন বার অভ্যাস করুন এই ব্যায়াম। এই ব্যায়ামে নিয়মিত অভ্যাসে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়।
শীর্ষাসন– মাথা নীচে রেখে, হাত ও কনুইয়ে ভর দিয়ে পা উলম্বভাবে উপরের দিকে তুলে রেখে এই আসন করতে হয়। অর্থাৎ মাথা থাকবে নীচে, দুই পা উপরে। প্রথম প্রথম এই ব্যায়াম করতে সমস্যা হবে। তখন দুই পা ব্যালেন্স করতে না পারলে দেওয়ালে ভর দিয়ে রাখতে পারেন। ধীরে-ধীরে ব্যায়াম রপ্ত হয়ে গেলে আর সমস্যা হবে না। শীর্ষাসন সঠিক ভাবে করতে পারলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়।