সুভাষচন্দ্র বসু, বেলাকোবা: আবেদন করে বৃদ্ধ ভাতা জোটেনি। তাই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পেটের টানে জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) গণেশচন্দ্র সরকার (৬৫) ট্রেনের যাত্রীদের গান শুনিয়ে চলেছেন। তিনি জলপাইগুড়ির মণ্ডলঘাট এলাকার বাসিন্দা। ২৫-৩০ বছর ধরে ট্রেনের যাত্রীদের দোতারা বাজিয়ে গান শোনান। সেই গান শুনে যাত্রীরা মুগ্ধ হয়ে যা দেন সেটুকুও তাঁর আয়। অনেকদিন আগে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ছেলে দিনহাজিরায় যেটুকু উপার্জন করেন তা দিয়ে সংসার চলে
প্রতিদিন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পদাতিক, দার্জিলিং মেল, তিস্তা-তোর্ষা ট্রেন ধরে বেলাকোবা হয়ে তিনি জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার যান। প্রশ্ন করতে আক্ষেপের সুরে গণেশ বলেন, ‘শিল্পী ভাতা পাই না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েও কাজ হয়নি। চোখে কম দেখি। একটা হাত অসাড়। তাই সরকারিভাবে ন্যূনতম প্রতিবন্ধকতার ভাতা পাই।’ একশো দিনের কাজ পান না বলেও অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় তিনি সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। বয়স হলেও ইচ্ছে থাকলে যে জীবন যুদ্ধে সফলতা পাওয়া যায় সেটা তিনি প্রমাণ করলেন। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন বলেন, ‘তিনি কী ধরনের শিল্পী সেই বিষয়ে লিখিতভাবে আবেদন করলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’