তুফানগঞ্জ: তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের চিলাখানা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে থাকা এই স্কুলটি প্রায় দেড়শো বছরের পুরোনো। কিন্তু এত পুরোনো এক স্কুলে এখনও নেই পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ার জন্য ডাইনিং হল। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের বারান্দায় বসে মিড-ডে মিল খেতে হচ্ছে। একারণে বর্ষাকালে ও ঝড়-বৃষ্টিতে খাওয়ার সময় খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। বারান্দায় বৃষ্টির জল ঢুকে গেলে দাঁড়িয়েও খেতে হয় অনেক সময়। খুব শীঘ্রই মিড-ডে মিলের ঘরের দাবি জানায় পঞ্চম শ্রেণির রাজ শীল ও তৃতীয় শ্রেণির মৌসুমি খাতুন। এর সঙ্গে রয়েছে পানীয় জল এবং শ্রেণিকক্ষের সমস্যাও। এখনও এই স্কুলে মান্ধাতার আমলের ঘরেই পঠনপাঠন হয়। ফলে বৃষ্টির সময় ফুটো টিন দিয়ে শ্রেণিকক্ষে জল ঢুকে বিঘ্ন ঘটে পঠনপাঠনে। ছাদযুক্ত ঘর পাওয়া থেকেও বঞ্চিত স্কুলটি। বাউন্ডারির এক পাশে টিন দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আর এইভাবে বহু সমস্যা নিয়েই চলছে রাজ আমলের এই স্কুলটি।
স্কুলটির প্রতিষ্ঠা আজ থেকে ১৪২ বছর আগে, ১৮৮২ সালে, মিডল ইংলিশ স্কুল নামে। তারপর বহুবার এর নাম পরিবর্তনের পর ১৯৬৮ সালে একটি অংশ চিলাখানা হাইস্কুল হিসেবে ভাগ হয়ে যায়। সেসময় থেকে এই প্রতিষ্ঠানের নাম হয়, চিলাখানা জুনিয়ার বেসিক স্কুল।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সবর আলি মণ্ডল জানান, প্রতিবছর পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোট ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। আর স্কুলে সাধারণ পরিষেবা না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত একটি বিল্ডিং অবধি মেলেনি। বর্ষাকালে মেঝেতে জল জমে যায়। সমস্যার কথা বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।’
তুফানগঞ্জ ১ নম্বর সম্পদকেন্দ্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পল্লবী চন্দ জানিয়েছেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। অন্যদিকে, তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বিডিও সঞ্জয় ঘিসিং বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
বর্তমানে এই স্কুলে প্রাকপ্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ২৫৪ জন। বেসরকারি স্কুলের ক্রমবর্ধমান চাহিদার মাঝেও নিজের গৌরব ধরে রেখেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। পঞ্চম শ্রেণির নারায়ণ বর্মন, চতুর্থ শ্রেণির সায়ন শীলের কথায়, স্কুলে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। জলে আয়রন থাকায় সেই জল খাওয়া যায় না। বাড়ি থেকে জল নিয়ে আসতে হয়। সমস্যাগুলো সমাধানের দাবি জানিয়েছে তারা।