উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে ‘খুন’ কংগ্রেস কর্মী। রাতারাতি এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গভীর রাতে তাঁদেরকে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এদিন কংগ্রেসকর্মী খুনের ঘটনার পরপরই জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শনিবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নের প্রথম দিনেই ‘রাজনৈতিক হত্যা’র অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। এদিন সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত রতনপুর গ্রামের এক কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে (৪২) পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পনেরো জন দুষ্কৃতী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থলে এসে হম্বিতম্বি করছিল। ফুলচাঁদ শেখ তাঁদের সরে যেতে বললেই দুষ্কৃতীরা পর পর ৬ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন ফুলচাঁদ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে আহত ফুলচাঁদকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গ্রাম হাসপাতালে। পরে ফুলচাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কান্দি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় নাম জড়ায় ‘স্থানীয় তৃণমূল নেতা’ রফিকের। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের এই কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনার দশ ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম কাজল শেখ ও সফিক শেখ। ধৃতেরা রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে, শনিবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছে কংগ্রেস।