বুনিয়াদপুর: পুলিশ অফিসার ছাড়াই দুই সিভিক দিয়ে চলছে বুনিয়াদপুর পুলিশ ফাঁড়ি(Buniadpur Out Post)। শহরে পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্ত্বেও এলাকাবাসীদের শহর থেকে ৩ কিমি পথ দূরে গিয়ে বংশীহারি থানায় অভিযোগ জানাতে হচ্ছে। শহরে চুরি, ছিনতাই ও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াও আশেপাশের দুটি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কম সময়ে অভিযোগ জানানোর জন্য তৈরি হয়েছিল পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্দেশ্য মহৎ হলেও কার্যক্ষেত্রে ঠিক তার উলটো হয়েছে। দিনের বেলা ফাঁড়ির বাইরে থেকে মেইন গেট বন্ধ থাকে। ভেতরের অফিসার রুম, অফিস রুম ও স্টাফ রুম, এই তিনটি ঘরে দরজা ভেজানো। ভেতরে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার বসে থাকেন। বাইরে থেকে মনে হবে, পুলিশ ফাঁড়ি বন্ধ। কোনও পুলিশ আধিকারিক নেই, যাকে অভিযোগ জমা দেওয়া যাবে। তিনটি শিফটে দুইজন সিভিক আসছেন সময় শেষ হলে বাড়ি ফিরছেন।
এদিকে বুনিয়াদপুর শহর থেকে বংশীহারি থানার(Banshihari Police Station) দূরত্ব অনেকটা হওয়ায় রাতে অভিযোগ জানাতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বুনিয়াদপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘটনা ঘটলে বংশীহারি থেকে পুলিশের পৌঁছোতে অনেকটা সময় নষ্ট হত। এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, একটি পুলিশ ফাঁড়ির। সেটা হলেও, কোনও কাজে লাগছে না।
উল্লেখ্য, এলাকাবাসীদের দাবি মেনে শহরে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিমাবাদ রাজ্য সড়কের ধারে সরকারি জায়গায় আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় ঝা চকচকে পুলিশ ফাঁড়ি। গত ৭ আগস্ট এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ফিতে কেটে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন হয়। সেইসময় উপস্থিত ছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা ও পুলিশ সুপার রাহুল দে প্রমুখ। উদ্বোধনের পর থেকে সেখানে পুলিশ অফিসার বসতেন। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে সেখানে আর কোনও পুলিশ অফিসারকে দেখা না গেলেও দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারই সর্বক্ষণ থাকছেন।
নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা বিরাজ সরকার বলেন, ‘ভোটের কিছুদিন আগেই হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে থানায় না গিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে যাই। সেখানে অভিযোগ জমা নেওয়ার কেউ না থাকায় ফের বংশীহারি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে।‘
বংশীহারী থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ফোর্স উঠিয়ে নেওয়া হয়। সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। নির্বাচন শেষ হয়েছে, খুব শীঘ্রই পুলিশ ফাঁড়িতে পূর্বের ন্যায় কাজ চালু হবে।‘