হরিশ্চন্দ্রপুর: বাড়ি থেকে ভিনরাজ্যে কলেজে যাওয়ার জন্য রবিবার সকালে ট্রেনে করে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ফরাক্কা স্টেশন থেকে আর কোনও খোঁজ মিলছে না হরিশ্চন্দ্রপুরের (Harishchandrapur) বাসিন্দা বছর কুড়ির দীপ্তি ভগতের। এদিকে ফরাক্কার (Farakka) এনটিপিসিতে নেতাজি সেতুতে তাঁর মোবাইল সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও কিছু টাকা উদ্ধার করেন এক ব্যক্তি। এরপর তিনিই সেগুলি এনটিপিসি ফাঁড়িতে জমা দেন। সেখান থেকে পরিচয় জানতে পেরে ওই তরুণীর পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানায় পুলিশ। এদিকে খবর পেয়েই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছে তরুণীর পরিবার। মেয়ের অপহরণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, দীপ্তির বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের বারদুয়ারি গ্রামে। গত বছর অগাস্টে ঝাড়খণ্ডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। রবিবার সকালেও হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে তিনি রামপুরহাট স্টেশনে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। এমনকি ট্রেন মালদায় থাকাকালীনও পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন দীপ্তি। এরপরই ফরাক্কার নেতাজি সেতু থেকে তাঁর জিনিসপত্র উদ্ধার হয়। কিন্তু ফরাক্কা স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকায় ওই তরুণীর কোনও খোঁজ মেলেনি (Missing Case)।
নিখোঁজ কলেজছাত্রীর বাবা দেবচরণ ভগৎ বলেন, ‘ঘটনার ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও মেয়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছিনা। জানিনা কী হয়েছে। আমার সঙ্গে তো কারও কোনও বিবাদ নেই।’ এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। রেল পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছে। কলেজছাত্রীটির খোঁজে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।