উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরেও পরিবর্তন হল না কিছুই। রাজস্থানের ‘এডুকেশন হাব’ বলে পরিচিত কোটায় (Kota) বেড়েই চলেছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার (Suicide) ঘটনা। গত ২৪ ঘণ্টাতেই কোটায় আত্মঘাতী হয়েছেন দুই পড়ুয়া। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার বাসিন্দা ওই দুই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পড়ুয়ার (JEE Aspirant) দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে মধ্যপ্রদেশের গুনার বাসিন্দা ২০ বছরের অভিষেকের দেহ উদ্ধার করা হয়। গত বছরের মে মাস থেকে কোটায় জয়েন্টের প্রস্তুতির নিচ্ছিলেন তিনি। কোচিং সেন্টারের পাশেই ডাকানিয়া এলাকায় এক বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকছিলেন ওই পড়ুয়া। অনেকক্ষণ কোনও সাড়া না পেয়ে বাড়ির মালিক পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে অভিষেককে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে দাবি পুলিশের। অভিষেকের কোনও মানসিক অবসাদ ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও হরিয়ানার বাসিন্দা জেইই পরীক্ষার্থী নীরজ (১৯) আত্মহত্যা করেন। হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় পরপর দুই পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোটায়। এর আগেও কোটায় পড়ুয়াদের আত্মঘাতী হওয়ার সংখ্যা কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন কোটায় পড়ুয়াদের মৃত্যুর সংখ্যা আটকানো যাচ্ছে না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।