নয়াদিল্লি: ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের সঙ্গে নোটবন্দির কোনও সম্পর্ক নেই। এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। একটি জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে সে কথাই জানিয়েছে আরবিআই।
তবে মামলার মূল বিষয় এদিন নোটবন্দি নয় বরং বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার বিষয় ২ হাজার টাকার নোট বদলের জন্য কেন নথিপত্র চাওয়া হচ্ছে না। প্রথমে বলা হয়েছিল, ব্যাংকে একটি ফর্ম ফিলআপ করে নোট বদলানো যাবে। অশ্বিনী উপাধ্যায় জানান, যেভাবে কুড়ি হাজার টাকার নোট বাতিলের আগে বদলানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাতে কালো টাকা অনায়াসে সাদা করা সহজ হবে। সরকারের উচিৎ ছিল জমানো টাকার উৎস সম্পর্কে নোট বদলের সময়ে ফর্মে উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা।
পাশাপাশি এও প্রশ্ন ওঠে, শুধু ২ হাজার টাকার নোটের ক্ষেত্রেই কেন আরবিআই ঘোষণা দিয়ে তা জমা করার কথা বলল। এ বিষয়ে আরবিআইয়ের জবাব, সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট এখন ২ হাজার টাকাই বাজারে আছে। যদিও সেগুলিতে লেনদেন কম হয়। এদিন দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মমনিয়ম প্রসাদের বেঞ্চ জানায়, সবদিক বিবেচনা করে আদালত দ্রুত রায় দেবে।