বর্ধমান: এসআইআর (SIR) আবহে জলাশয় থেকে উদ্ধার হল বস্তাবন্দি বাণ্ডিল বাণ্ডিল আধার কার্ড (Aadhaar Card)! ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। পুলিশ ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া আধার কার্ড বাজেযাপ্ত করেছে। তবে জলাশয়ের মধ্যে এত আধার কার্ড কীভাবে পৌঁছল তা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক ও বিরোধীদের রাজনৈতিক তর্জা। বিজেপি নেতারা সুর সপ্তমে চড়িয়ে দাবি করছেন, এসআইআর এখন কার্বলিক অ্যাসিডের মতো কাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পিলা পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম ললিতপুর। বুধবার সকাল থেকে গ্রামবাসীদের একাংশ গ্রামেরই একটি জলাশয়ে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময় তিনটি বস্তা উদ্ধার হয়। বস্তা খুলতেই দেখা যায় ভেতরে আধার কার্ড। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে আধার কার্ডগুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনা প্রসঙ্গে কালনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) রাকেশ চৌধুরী জানান, ‘উদ্ধার হওয়া সমস্ত আধার কার্ড পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এত আধার কার্ড কে কারা জলাশয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’ পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অধিকাংশ আধার কার্ডে পিলা ও স্থানীয় হামিদপুর এলাকার ঠিকানা লেখা রয়েছে।
একদিকে রাজ্যে যখন এসআইআর চলছে, ঠিক সেই সময় বস্তাবন্দি আধার কার্ড উদ্ধার হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এত আধার কার্ড কারা ফেলে গেল তা জানি না। তবে উদ্ধার হওয়া আধার কার্ড গুলি দেখে আমার মনে হয়েছে সেগুলি ’ডুপ্লিকেট’ আধার কার্ড। গোটা ঘটনার পেছনে বিজেপির মদত রয়েছে।’
তৃনমূলকে একহাত নিয়ে পালটা জেলা বিজেপি নেতা (BJP Leader) মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে ওই আধার কার্ডগুলি ভুয়ো। এইজন্যই তো আমাদের নেতা শুভেন্দু আধিকারী (BJP Leader Shuvendu Adhikari) বলেছেন এসআইআর (SIR) কার্বলিক অ্যাসিডের মতো কাজ করছে। এসআইআর লাগু হতেই দলে দলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বাংলা ছেড়ে পালানো এবং বিল থেকে বাণ্ডিল বাণ্ডিল আধার কার্ড উদ্ধার, এসব শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে সত্যি প্রমাণিত করেছে। এসআইআর-এর দৌলতে বাংলার মানুষ আগামী একমাস এমন আরও অনেক ঘটনা দেখতে পাবেন।’

