শিলিগুড়ি: দক্ষিণের পুষ্পা সিনেমায় দর্শকরা দেখেছিলেন কীভাবে দুধের ট্যাংকারের মধ্যে লাল চন্দন কাঠ পাচার হয়। তবে মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে যেটা ঘটল, তা হয়তো পুষ্পাকেও হার মানাবে।
সেখানে কফিনের মধ্যে গাঁজা ভরে তা অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে পাচারের ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু মাদক পাচারের এই অভিনব ফন্দি ভেস্তে দেয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ। এদিন সকালে ফুলবাড়িতে হানা দিয়ে চারজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা ও তিনজন পুরুষ। তাদের নাম সমীর দাস (২৮), অপূর্ব দে (৫৪), পাপ্পু মোদক (৩১) ও সরস্বতী দাস (৩৪)। সকলেরই বাড়ি কোচবিহারের দিনহাটায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।
এসটিএফ সূত্রের খবর, ধৃতদের থেকে ৬৪ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া পাচারে ব্যবহৃত অ্যাম্বুল্যান্স ও কফিনও বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এনজেপি থানায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতর একটি বড় সাইজের কফিন রাখা হয়েছিল। তার ভেতরেই ছিল গাঁজা। এদিন সকাল ন’টা নাগাদ ফুলবাড়ির কাছে আমবাড়ি ক্যানাল রোডে গাড়িটিকে আটকায় এসটিএফ-এর একটি দল। অ্যাম্বুল্যান্স কেন আটকানো হল, তার কৈফিয়ৎ চান গাড়ির ভেতর কফিন ঘিরে বসে থাকা লোকজন। তাঁরা নিজেদের মৃতের আত্মীয়স্বজন হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু তাঁদের আপত্তিতে কান না দিয়ে শুরু হয় তল্লাশি।
অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর ফুল দিয়ে সাজানো ধবধবে সাদা কাপড়ে মোড়া কফিনটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ এসটিএফের। কফিনের ভিতরে পরপর সাজানো ছিল আঠারো প্যাকেট গাঁজা। যার ওজন ৬৪ কেজি। ঘটনাস্থল থেকে এক মহিলা সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কফিন সহ অ্যাম্বুল্যান্সটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে গাঁজা পাচারের এই অভিনব কৌশল ভাবাচ্ছে পুলিশ কর্তাদের।