কিশনগঞ্জঃ একটু বৃষ্টিতেই ধসে গেল মেচি নদীর ওপর নির্মীয়মান সেতুর একটি পিলার। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের ৩২৭ ই জাতীয় সড়কে ঠাকুরগঞ্জ ও বাহাদুরগঞ্জের মাঝে মেচি নদীর উপর নির্মীয়মান সেতুতে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এদিকে নির্মীয়মান সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত পিলারের সংস্কারের কাজ শুরু করেছে নির্মাণকারী সংস্থা।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, এই ফোরলেন ও সেতু নির্মাণ কেন্দ্র সরকারের রাষ্ট্রীয় সড়কমালা নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় হচ্ছে। তাই এই সেতু উদ্বোধনের বা যানবাহন চলাচলের আগে ধসে পড়ার দায় রাজ্য সরকারের নয়। অপরদিকে কিশনগঞ্জের কংগ্রেসী সাংসদ সেতুর পিলার ধসার অভিযোগ কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করিকে ই মেল বার্তায় জানিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, রবিবার দুপুরে রাজ্যের সড়ক নির্মাণ দপ্তরের মুখ্য সচিব অমৃত প্রত্যয়ের বিশেষ নির্দেশে নির্মীয়মান সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত পিলার পরিদর্শনে যান কিশনগঞ্জের জেলাশাসক শ্রীকান্ত শাস্ত্রী, মহকুমা শাসক অমিতাভ কুমার গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন জনাকয়েক জেলার অভিজ্ঞ বাস্তুকার। তারা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন।
অপরদিকে সেতুর পিলার ধসে যাওয়ার ঘটনায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিহারের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অবধেশ কুমার এই সেতু নির্মাণকাজে যুক্ত চার ইঞ্জিনিয়ারকে বরখাস্ত করেছেন বলে সূত্রের খবর। এছাড়া সেতু নির্মাণকারী সংস্থাকে এই মর্মে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের চার উচ্চপদস্থ আধিকারিক চেন্নাই থেকে এসে পৌছেছেন বলে সূত্রের খবর। এদিন সকাল থেকেই সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত পিলারের সংস্কার কার্য শুরু করে দিয়েছে বরাতপ্রাপ্ত নির্মাণকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, কিশনগঞ্জের ৩২৭ ই জাতীয় সড়কে ঠাকুরগঞ্জ ও বাহাদুরগঞ্জের মাঝে মেচি নদীর উপর নির্মীয়মান সেতুর পিলার ধসে যায়। অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণেই সেতুর পিলার ধসে গিয়েছে বলে অনুমান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। বিহারের গলগলিয়া থেকে আরারিয়া ৩২৭ ই জাতীয় সড়কের দুই লেনকে ফোর লেনে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। ৯৪ কিলোমিটার রাস্তা ও রাস্তার ওপরে সেতু নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে জি আর ইনফ্রা নামের এক নির্মাণকারী সংস্থাকে।