গাজোলঃ মঙ্গলবার বিকেলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই চারটি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের হরিদাস গ্রামে। অগ্নিকাণ্ডে সমস্ত কিছু খুইয়ে খোলা আকাশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়ার এক ঘণ্টার পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। দমকল কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। গাজোলে পর পর আগুন লাগার ঘটনায় আবার দমকল কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জোরালভাবে উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন পঙ্কজ বিশ্বাস, সহদেব বিশ্বাস, পরিমল বালো এবং অধীর বালোর পরিবার। আগুন লেগে যাওয়ার পর প্রথমে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান গ্রামবাসীরা। কিন্তু হঠাৎ করে লোডশেডিং হয়ে যাওয়ায় পরে শ্যালো মেশিন দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলে। আগুন লাগার খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে গাজোল থানার পুলিশ। আসেন গাজোল ব্লক বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের আধিকারিক সৌরভ দত্ত।
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সহদেব বিশ্বাসের বাড়িতে রান্না করার সময় বিকেল চারটে নাগাদ রান্নাঘরে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের বাড়ি গুলিতে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমল বালোর স্ত্রী সন্ধ্যা বালো জানালেন, তিনি নিজে একটি নার্সারি স্কুলে কাজ করেন। স্বামী ভ্যান চালান। এই করেই চলে তাদের সংসার। বড় মেয়ে প্রিয়াঙ্কা পড়ে কলেজের থার্ড ইয়ারে। ছোট মেয়ে পাপিয়া সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বড় মেয়ের বিয়ের জন্য খেয়ে না খেয়ে তিল তিল করে সোনা দানা টাকা-পয়সা জোগাড় করেছিলেন। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সবকিছু। পরণের কাপড় ছাড়া এখন আর কিছুই নেই তাদের।