৪৫ বছরে পড়ল গাজোলের যুবগোষ্ঠীর দুর্গাপুজো, চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি

গাজোল: ৪৫ বছরে পড়ল গাজোলের রবীন্দ্রসংঘ পরিচালিত যুবগোষ্ঠীর দুর্গাপুজো। মাঠের অর্ধেক অংশজুড়ে বিশালাকৃতির পুজো মণ্ডপ, তার সঙ্গে বাহারি আলোকসজ্জা। মণ্ডপের ভেতরে ডাকের সাজে সাবেকি আমলের প্রতিমা। এইসব নিয়ে এবার পুজোয় তাক লাগাতে চলেছে যুবগোষ্ঠীর পুজো। পঞ্চমীর দিন উদ্বোধন হবে এই পুজো। ইতিমধ্যে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

গাজোল হাই স্কুল ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় দুটি পুজো। একটি বাঁশরী সাংস্কৃতিক সংস্থা এবং অন্যটি যুবগোষ্ঠীর পুজো। গাজোল শহরের কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় দুটি পুজোতেই দর্শক সমাগম হয় প্রচুর। বাঁশরী সাংস্কৃতিক সংস্থা প্রতিবছর থিম নির্ভর পুজো করে। তবে এবার অন্যান্য পুজোকে টেক্কা দিতে রীতিমত কোমর বেঁধে নেমেছে যুবগোষ্ঠী।

এই ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় জানান, এবার তাদের পুজো ৪৫ বছরে পা দিল। পুজোর বাজেট কমবেশি পাঁচ লাখ টাকা। “রংমহলের সাবেকি সাজে, মা দুর্গা এলো আমাদের মাঝে”। এই থিমকে সামনে রেখে আমরা এবার পুজো করছি। রাজস্থানের একটি বিশালাকার মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে আমাদের মণ্ডপ। থাকছে থার্মোকলের নানা ধরনের কাজ। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের পুতুল। বালুরঘাটের মণ্ডপ শিল্পী সমীর দাস তৈরি করছেন পুজো মণ্ডপ। তবে দিনের বেলা থেকে রাতের বেলা আমাদের মণ্ডপ আরও সুন্দরভাবে সেজে উঠবে। মণ্ডপের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে রংবাহারি আলোক সজ্জা রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন বুনিয়াদপুর এর আলোক শিল্পী সুপদ বর্মন। আমাদের এখানকার প্রতিমা প্রতিবছরই সাবেকি ধরনের হয়। প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পী অসিত সেন। মাকে সাজানো হচ্ছে কলকাতার কুমোরটুলির ডাকের সাজ দিয়ে।

যুবগোষ্ঠীর সহ সম্পাদক অশোক সরকার বলেন, ‘গাজোল শহর এলাকার মধ্যে একটি সুন্দর পুজো উপহার দেওয়ার জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি। আমাদের পুজোর যে বাজেট তা আসে মূলত ক্লাবের সদস্যদের অনুদান, সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করেন। এছাড়াও বহু শিল্পপতি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলাদা করে আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করেন। সবার সহযোগিতা নিয়েই এবার আমরা বড় মাপের পুজোর আয়োজন করেছি। আশা করি আমাদের মণ্ডপ, আলোকসজ্জা এবং প্রতিমা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। আমাদের পুজোতে এবার প্রচুর দর্শক সমাগম হবে এটা বলাই বাহুল্য। ভিড় সামাল দিতে আমাদের পুজো মণ্ডপ এবার পঞ্চমীর দিন উদ্বোধন করা হবে। দর্শনার্থীরা যাতে খুব সুন্দরভাবে আমাদের পুজো মণ্ডপ এবং প্রতিমা দর্শন করতে পারেন তার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা সবসময় প্রস্তুত থাকবেন।‘