বালুরঘাট: ৪১৩০ মিটার পথ ট্রেকিং করে হিমালয় পর্বতমালার অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প জয় করে তাক লাগাল বালুরঘাটের পাঁচ পর্বতারোহী। তাদের মধ্যে কেউ ৩০ বছরের যুবক, আবার কারও বয়স ৬২ বছর। তারা সকলেই বালুরঘাট ট্রেকার্স অ্যান্ড মাউন্টেনার্স অর্গানাইজেশনের সদস্য। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে পর্বতারোহীরা তাদের অভিজ্ঞতা সহ এই দীর্ঘ পথ চলা সম্পর্কে জানান।
২০০০ সাল থেকে নেচার স্টাডি অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প শুরু করেন তারা। ইতিমধ্যেই ২০টি ক্যাম্প তারা করে ফেলেছন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রায়গঞ্জের হিমালয়ান অ্যান্ড মাউন্টেনারস অ্যাসোসিয়েশন ও বহরমপুর অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব। এদিন অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প জয় করে আসা সঙ্গীত চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু চট্টোপাধ্যায়, বিকু দত্ত, পীযুষ শান্তি মজুমদার ও তুষারকান্তি দত্ত তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। পাশাপাশি, তুষারবাবুর ভ্রমণের উপরে লেখা ‘পথে পথে বেড়াই ঘুরে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সম্পাদক বিশ্বজিৎ সরকার, সভাপতি শুভেন্দু কুমার মাহাতো প্রমুখ।
শুভেন্দুবাবু জানান, ‘জংরি, গোচালা রাউন্ড, সিঙ্গালিলা তালুং গ্লাসিয়ার, রূপকুন্ড, সুন্দরদুঙ্গা, পিণ্ডারি গ্লেসিয়ার সহ ২০০৬ সালে দেওটিব্বা শৃঙ্গ জয় করা হয়। চার বছর আগে কেদার কণ্ঠশৃঙ্গ এক্সপিডিশন করা হয়েছে। ২০০০ সালে প্রকৃতি পাঠ শিবিরের পাশাপাশি ২০০৮ সালে পর্বতরনের কৌশল শিবির শুরু হয়েছে। নতুনদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
৬২ বছর বয়সী পর্বতারোহী পিযুষ কান্তি মজুমদার জানান, অন্নপূর্ণা বেশ ক্যাম্পে ৩৬০ ডিগ্রি গ্লেশিয়েটেড ভিউ দেখতে পাওয়া যায়। প্রবেশের মুখেই গুরুং জনজাতির কাছে পবিত্র মাছাপুছারে শৃঙ্গ। অন্নপূর্ণা এক, দুই, তিন ও চার ছাড়াও হিমচুলি শৃঙ্গ রয়েছে। একাধিক হিমবাহ উপত্যকা পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রচণ্ড খাতে বয়ে গিয়েছে বেস ক্যাম্পের ধার ধরে। খাড়া ঢাল, সমান্তরাল গ্রাবরেখা, শীতল হিমবাহ, তার মধ্যে স্থির জলের হ্রদ, ঠান্ডা বাতাসের দাপট ও পাহাড়ের গায়ে ক্রেভাসে সুস্পষ্ট চিহ্ন মৃত্যুর হাতছানি মনে হয়।’