মোথাবাড়ি: শিলাবৃষ্টিতে গঙ্গার চরের প্রায় ৬০০ বিঘা ধান ও ফসল নষ্ট হয়ে যায়। যার জেরে ভাঙন এলাকার গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক ও সাধারণ মানুষ। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের কেবলমাত্র বাঙ্গীটোলা ও পঞ্চানন্দপুর ও গঙ্গার চর এলাকার ৪-৫টি মৌজায় ৫০ হেক্টর অর্থাৎ সাড়ে ৩৫০ বিঘা বোরো ধান, ৮০ হেক্টর অর্থাৎ প্রায় ৬০০ বিঘা ভুট্টা ও ৩০ হেক্টর প্রায় ৩০০ বিঘা পাট নষ্ট হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের বক্তব্য, গঙ্গার চর এলাকায় আরও বহু জমিতে ধান ও ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। মূলত চর এলাকার কৃষকেরা চাষবাস করে ফসল ফলানোর স্বপ্ন দেখেছিল।
গঙ্গার চরে এলাকার বিস্তীর্ণ প্রায় কয়েক হাজার বিঘা চাষের জমিতে পাট বা ধান পটল ও ভুট্টা চাষ করেছিল ভাঙন এলাকার গরিব কৃষকেরা। শিলাবৃষ্টি সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবছরও লাভের মুখ দেখতে পেল না সাধারণ কৃষকরা। সমস্যাটি নিয়ে একাধিক কৃষক স্থানীয় বিডিও ও কৃষি দপ্তরে ক্ষতিপূরণের জন্য অভিযোগ জানিয়েছেন।
ভাঙন এলাকায় বেশিরভাগ প্রান্তিক চাষিদের জমির দলিল থাকলেও জমিগুলোর রেকর্ড নেই। তাই জমির পর্চা না থাকায় চাষিরা যেমন কিষান ক্রেডিট কার্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি বঞ্চিত হচ্ছে ফসলের ইন্সুরেন্সের সুবিধা থেকে। কৃষি দপ্তর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তালিকাভুক্ত করলেও এখনও কেউ ক্ষতিপূরণ পায়নি। ফলে বছর বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কার্যত নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে হাজার হাজার সাধারণ কৃষকেদের। কালিয়াচক-২ নম্বর বিডিও বিপ্রতীম বসাক জানান, বেশ কিছু কৃষক লিখিতভাবে তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য অভিযোগ জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কৃষি দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত করা হচ্ছে।