উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ধমান মেডিকেল কলেজের (Burdwan Medical College and Hospital) সাত জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে র্যাগিং এর অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁদের কলেজে এবং হস্টেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে উচ্চ আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিল, ‘বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাত জন পড়ুয়া ক্লাস করতে পারবেন।’
এদিন বিচারপতি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, ‘আপাতত ক্লাস করতে পারবেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়ারা (Doctors)। তাঁরা ক্লাস করতে গিয়ে কোনও বাধার সম্মুখীন হলে থানার সাহায্য নিতে পারবেন। তবে এখনই হস্টেলে প্রবেশ করতে পারবেন না।’ অন্যদিকে, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘র্যাগিংয়ের চার্জ কী, তা জানানো হয়নি। একতরফা ভাবে কর্তৃপক্ষ কীভাবে কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারেন? শুধুমাত্র অভিযোগ শুনেই পদক্ষেপ? এটাই তো হুমকি সংস্কৃতি।’
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর রাজ্যের একের পর এক মেডিকেল কলেজ থেকে সামনে আসে থ্রেট কালচারের ছবি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং চিকিৎসক অভীক দের বিরুদ্ধে দাদাগিরি অভিযোগ তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি হুমকি সংস্কৃতির অভিযোগে আরজি কর মেডিকেল (RG Kar Madical College) কলেজের ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারকে।