রায়গঞ্জ: উপপ্রধান সহ বিজেপির ৮ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।ফলে ২৬ আসন বিশিষ্ট রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা দাঁড়াল ১২। কিন্তু তারপরেও বিজেপির প্রধান সহ সিপিএম ও কংগ্রেস মিলিয়ে ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রেখে দিলেন এই যাত্রায়। ফলে একসঙ্গে এতজন বিজেপি সদস্যকে দলে টেনেও এই যাত্রায় বোর্ড গঠন করতে পারল না তৃণমূল। বিজেপির প্রধান মমতা রায় বর্মণের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে হলেও আরও ৯ মাস অপেক্ষা করতে হবে তৃণমূলকে।কারন পঞ্চায়েত আইনে আড়াই বছরের আগে কোনও মতেই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যায় না।
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নং রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ জন বিজেপি সদস্য এদিন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণ ও জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। রামপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধনের পর এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
সত্যজিৎ বর্মণের দাবি, ‘যারা আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তাঁরা স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছেন। কোনও রকম শর্ত তাঁদের দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হতেই এই সিদ্ধান্ত।’ যদিও রামপুর অঞ্চলের বিজেপি নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা মলয় সরকার বলেন, ‘বিজেপির ৮ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দু:স্থ পরিবারের সদস্য হওয়ায় তৃণমূল নেতারা তাঁদের প্রলোভন দেখিয়ে নিজদের দলে টেনে নিলেন। এখনও ৯ মাস অপেক্ষা করতে হবে,তারপর অনাস্থা। এবার তৃণমূল প্রতি পদে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে, কিন্তু তারা পারবে না।’