পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: পুজোর আগে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল খুললেই পোষা হস্তীশাবকের(Elephant) সঙ্গে খেলার সুযোগ পেতে পারেন পর্যটকরা। কুনকি হাতির দু-একটি শাবককে এই পরিকল্পনা রূপায়ণে ব্যবহার করা যায় কি না, তার পরিকল্পনা শুরু করেছে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ(Gorumara National Park)৷
পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কী হবে? ধরুন জঙ্গলে এলিফ্যান্ট সাফারির বুকিং পেলেন না কোনও পর্যটক। তখন সেই পর্যটক হস্তীশাবককে নিয়ে খেলা, সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। গরুমারার ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পিলখানায় কুনকি হাতিদের একাধিক শাবক রয়েছে। পাশেই গাছবাড়ির সামনে ফাঁকা মাঠ রয়েছে। পর্যটকরা ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে যেভাবে বিশ্বকর্মাপুজার সময় কুনকি হাতির সামনে গিয়ে পুজো করে থাকেন, তেমনি মাহুতের উপস্থিতিতে হস্তীশাবককে সেই ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হবে। শাবকের সঙ্গে অল্প পরিসরে দৌড়াদৌড়ি করা, তাকে আদর করা থেকে তারসঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পেতে পারেন পর্যটকরা। এই পরিষেবার জন্য অবশ্যই আলাদা ফি দিতে হবে।
কুনকি হাতিগুলি বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হয়ে আসা বুনো হাতি। তাদের শাবকরা পিলখানাতেই জন্মেছে। বুনো হাতিরা অনেকসময় তাদের শাবককে মানুষ ছুঁয়ে ফেললে দলে ফিরিয়ে নেয় না। কিন্তু কুনকি হাতির শাবকের ক্ষেত্রে এধরনের কোনও সমস্যা নেই। পিলখানায় শাবকদের কোনও কাজ থাকে না। এবার পর্যটকদের সঙ্গে তাদের সময় কাটানোর সুযোগ করে দিলে পর্যটকদের পাশাপাশি ওই পুঁচকেরাও ফুর্তিতে থাকবে।
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতীম সেন বলেন, ‘পোষা হস্তীশাবককে নিয়ে এই পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রাজ্য ছাড়পত্র না দিলে কিছুই করার নেই। বর্ষার সময় তিন মাস জঙ্গলে পর্যটন বন্ধ থাকবে। পুজোর আগে জঙ্গল খুললেই এই পরিকল্পনা কতটা রূপায়িত করা যাবে, তা খতিয়ে দেখা হবে।’