জামালদহঃ জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়ের তৎপরতায় অরুণাচল প্রদেশ থেকে ঘরে ফিরলেন কোচবিহার জেলার ৯ পরিযায়ী শ্রমিক। আরও তিনজন শ্রমিক সেই রাজ্য থেকে ফিরবেন শীঘ্রই। এরা প্রত্যেকেই কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা জামালদহ ও উছলপুকুরি এলাকার বাসিন্দা। অরুণাচল প্রদেশে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রেখে অমানুষিক পরিশ্রমের পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতি থেকে ঘরে ফিরতে পেরে খুশি প্রত্যেকেই।
জানা গিয়েছে, পেটের জ্বালা নিবারন করতে কাজের খোঁজে প্রায় চার মাস আগে অরুণাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন কোচবিহার জেলার ১২ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে মাথাভাঙা ১ নং ব্লক এর চারজন, জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত জন ও উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একজন ছিলেন। অভিযোগ সেখানে গিয়ে তাদের আটকে রাখা হয়। চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এমনকি দুবেলা পেটপুরে খাবারও দেওয়া হয়নি। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন।
সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে একজন কয়েকদিন আগে কোনওভাবে একটি মোবাইল জোগাড় করে নিজের বাড়িতে এই দুর্দশার কথা জানান। এরপরই পরিবারের লোকেরা অরুণাচল প্রদেশ থেকে ঘরে ফেরাতে কথা বলে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে। বিজেপির মেখলিগঞ্জ বিধানসভার আহ্বায়ক পবন কুমার ভাদানি ও স্থানীয় মন্ডল সভাপতি কামিনী কুমার বর্মন খবর শুনে তড়িঘড়ি যোগাযোগ করেন জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে। সব শুনে সাংসদ তাদের আশ্বস্ত করেন।
এরপর সাংসদ যোগাযোগ করেন অরুণাচল প্রদেশ এর সরকারের সঙ্গে। যোগাযোগ ফলপ্রসূ হয়। উদ্ধার করা হয় আটকে থাকা ১২ জন শ্রমিককেই। শনিবার সকালে জামালদহে ফেরেন আটকে থাকা ৯ জন শ্রমিক। বাকি তিনজন খুব শীঘ্রই ঘরে ফিরবেন বলে খবর। পরিবারের কাছে ফিরতে পেরে আনন্দাশ্রু প্রত্যেকের চোখে। স্বস্থিতে পরিবারের সকলেই। আটকে থাকা শ্রমিক দের পরিবারের তরফে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় স্হানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় কে। ফিরে আসা শ্রমিক দের খোঁজ নিতে আজ জামালদহে আসেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়, বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক দধিরাম রায় প্রমুখ।