নাগরাকাটা: চা বাগানের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এগিয়ে এসেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার সেন্টার ফর ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড অ্যাগ্রি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (কোফাম)-এর তরফে পাহাড়, ডুয়ার্স ও তরাইয়ের বিভিন্ন রুগ্ন চা বাগানের ৬০ জন মহিলাকে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোফাম-এর প্রধান ও ইনস্পেকটর অফ কলেজেস ডঃ দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য, পরিবেশবান্ধব কৃষিকাজের প্রসার ও সেইসঙ্গে মহিলাদের বিকল্প আয়ের সংস্থান তৈরি করে দেওয়া।’
মাশরুম বর্তমানে শুধু অর্থকরী পণ্যই নয়, এর চাহিদাও বাড়ছে। চাষের জন্য খরচ তেমন নেই। প্রয়োজন নেই প্রচুর জমিরও। দরকার শুধু অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থান ও দক্ষতা। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে নানা বয়সি মহিলা ছিলেন। এমনকি কয়েকজন ছাত্রীও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। হাতেকলমে মাশরুম চাষের ওপর নানা দিক শেখানো হয়। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কোফাম-এর প্র্যাকটিকাল ডেমনেসট্রেটর অমরেন্দ্রকুমার পান্ডে।
ডুয়ার্সে চা বাগানের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চালিয়ে যাওয়া সমাজকর্মী রূপম দেব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। মনে রাখতে হবে, চা বাগানগুলি প্রত্যন্ত এলাকাতে অবস্থিত। সেখানকার মহিলারা যদি নিজেদের বাড়িতে বসেই মাশরুম চাষে নেমে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন, তবে এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে। তবে বিপণনের কিছু সমস্যা রয়েছে। আশা করছি সেটাও সমস্ত মহলের মিলিত প্রয়াসে দূর হবে।’
কালচিনির মধু চা বাগানের কণিকা ধানোয়ার নামে এক প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা মহিলা বলেন, ‘বিজ্ঞানসম্মত কৌশল শেখার পর ইতিমধ্যেই নিজেদের এলাকায় আরও কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত আমরা প্রত্যেকেই এর সুফল পাব।’