শিলিগুড়ি: বিড়িকধারার পর এবার মেল্লিবাজার, ভূমিধস অব্যাহত। বুধবার ওই এলাকায় ভূমিধসে রাস্তার একাংশ ভেঙে তিস্তায় মিশে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামা যথারীতি অব্যাহত। তিস্তাপাড়ের বাড়িঘরগুলিতে জল ঢুকছে। এসবের ফলে এখন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড়ো প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এদিকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি থামার কোনও আশা নেই বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।
দু’দিন আগে ভূমিধসের জেরে বিড়িকধারায় জাতীয় সড়কের একটি অংশ ভেঙে তিস্তায় মিশেছিল। এদিন সকালে একই ঘটনা ঘটল মেল্লিবাজারে। রাস্তার একটা অংশ ভেঙে তিস্তায় মিশেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার একাধিক বাড়িতে এদিন জল ঢুকেছে। এদিনও তিস্তার জল আছড়ে পড়ে তিস্তাবাজারে। মঙ্গলবার বিকেলে চালু হলেও এদিন ফের বন্ধ হয়ে যায় পেশক রোড। ফলে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মধ্যে চলাচলকারী গাড়িগুলিকে এখন ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
পূর্ত দপ্তরের ন্যাশনাল হাইওয়ে ডিভিশন ধসের জেরে রাস্তায় পড়ে থাকা বালি-পাথর সরানোর পাশাপাশি কয়েকটি এলাকায় গার্ডওয়াল দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বটে, তবে রাস্তাটি কবে চালু হবে তা একেবারেই স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারছে না প্রশাসন। কালিম্পংয়ের জেলা শাসক বালাসুব্রহ্মণিয়ান টি মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘ভারী বৃষ্টির জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নামায় এবং মেরামতির কাজ চলায় জাতীয় সড়কটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।’ এদিনও তঁার একই বক্তব্য।
গত কয়েকদিন ধরে যা চলছে, তাতে বলাই যায়, গত বছর অক্টোবরের স্মৃতি ফিরে এসেছে পাহাড়ে। সেবার সাউথ লোনাক লেক বিপর্যয়ের জেরে দিনের পর দিন বন্ধ ছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এবারেও দিনের পর দিন বন্ধ থাকছে রাস্তাটি। যেভাবে ভাঙন ধরছে, তাতে জাতীয় সড়কটির ভবিষ্যতের গায়ে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন সেঁটে দিলে কোনও অত্যুক্তি হবে না।
জাতীয় সড়কে বারবার কেন ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে? তিস্তায় জলস্ফীতি এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তা বরাবর গার্ডওয়াল না থাকায় তিস্তার জল ধাক্কা মারছে জাতীয় সড়কের নীচের অংশে। ফলে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় রাস্তা বসে যাচ্ছে। সেলফিদারা, রবিঝোরা, ২৭ মাইল, লিকুভির, মেল্লিতে এই ছবি লক্ষণীয়। এক বাস্তুকারের কথায়, ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। নাহলে মাঝেমধ্যেই জাতীয় সড়কটি বন্ধ রাখতে হবে।’
কিন্তু সেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করবে কে? সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রীর কাছে জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং। সড়ক পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাস্তাটির বেহাল অবস্থার জন্য রাজ্যকে দায়ী করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট। পূর্ত দপ্তরের পরিবর্তে রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব এনএইচআইডিসিএল-কে দেওয়ার দাবি তোলার পাশাপাশি একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর অনুরোধ করেন সাংসদ। তবে কেন্দ্রের তরফে এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়ার খবর নেই। রাজ্যের তরফেও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ফলে ভুগছেন দুই রাজ্যের বাসিন্দারা।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির খাবারের প্রতি টান অদম্য। আর তাতে যদি হয় চপ, সিঙারা…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জেলবন্দি অবস্থাতেই আরও বিপাকে পড়লেন আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী…
অভিজিৎ ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: অবশেষে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে (Alipurduar Hospital) শুরু হতে চলেছে হাইব্রিড সিসিইউ (Hybrid…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রথের দিন জিলিপি খাবে না, এরম বাঙালি বোধহয় খুব কমই আছে।…
মোস্তাক মোরশেদ হোসেন, রাঙ্গালিবাজনা: আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের খয়েরবাড়ি ও রাঙ্গালিবাজনায় একের পর এক মহল্লা…
মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার: কোথাও কোমর, কোথাও বুকসমান জল (Flood Like Situation)। শোয়ার ঘর থেকে রান্নাঘর…
This website uses cookies.