রায়গঞ্জঃ বেহাল অবস্থা কুলিক বাঁধের! রায়গঞ্জের আব্দুলঘাটা এলাকায় কুলিক বাঁধটি যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বর্ষার মরসুম শুরু হতেই বাঁধে দেখা দিয়েছে একাধিক জায়গায় ফাটল। বালির বস্তা দিয়ে সেগুলো পূরণ করা হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। তাদের আশঙ্কা, লাগাতার বৃষ্টি হলে ফাটলগুলি আরও বিপদজনক আকার নেবে। বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে এলাকা ভাসবে। বন্যার আশঙ্কা করছেন তারা। দুই- তিনদিনের বৃষ্টিতে বড় বড় গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। সেচ দপ্তরের তরফে গর্তগুলি বালির বস্তা দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। যদিও বাঁধের রাস্তা পাকা করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, কুলিক সেতু থেকে আব্দুলঘাটা মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি কুলিক বাঁধ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। আব্দুলঘাটা, চন্ডীতলা, বামুহা সহ একাধিক গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। সেই সঙ্গে যাতায়াত করেন মেডিকেল কলেজের পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে সকলের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা সমর রায় জানান, দুই দিন আগে বাঁধের ফাটলগুলি বালির বস্তা দিয়ে ভরাট করে গেল। বৃষ্টি হতেই ফাটলগুলি বড় আকার নিয়েছে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে যে কোনও দিন বাঁধ ভেঙ্গে বন্যা দেখা দেবে। বন্যার আতঙ্কে রয়েছি আমরা।
স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা উপেন্দ্র নাথ বর্মণ জানান, গত বছর গর্তগুলি পূরণ করা হলেও স্থায়ী সমাধান করা হয়নি। বর্ষা নেমে যাওয়ায় বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে আছি। লাগাতার বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অরুপ দেবনাথ জানান, বাঁধের পরিস্থিতি যে খারাপ তা প্রশাসনের লোকজন ভালো মতো জানেন। বাঁধের উপর বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন যদি শীঘ্র পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এলাকার মানুষকে বিপদের মুখে পড়তে হবে।
১৩ নং কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্য অমল মন্ডল জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলেই বাঁধের রাস্তা তৈরি করা হবে। এজন্য টেন্ডারও হয়ে গেছে। নতুন মেডিকেল কলেজ হয়েছে এবং নতুন রাস্তাও হয়েছে। বৃষ্টি হয়ে মাটি যত বসবে ততই ভালো। বাঁধে যেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে সেচ দপ্তর সেখানে সেখানে সংস্কার করেছে।
বিদায়ী প্রধান প্রশান্ত দাস বলেন, বাঁধের বেহাল অবস্থা। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে বাঁধ সংস্কারের আবেদন জানিয়েছি। আশাকরি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। যদিও এলাকাবাসী পঞ্চায়েতের উপর ভরসা রাখতে পারছে না আর।