বর্ধমান: সেই কতকাল আগে কবিগুরু লিখে গিয়েছেন,’যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে-তবে একলা চলো রে’। পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তিতে কবিগুরুর এই লেখনির প্রতিচ্ছবি এখন যেন প্রকাশ পাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রভাত দাসের কর্মকাণ্ডে। যা দেখে শাসক দলের নেতারা কটাক্ষ ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে চললেও ’কংগ্রেস বুড়ো’ নামে খ্যাত প্রভাতবাবু ’কুছ পরোয়া নেহি’ মনোভাব দেখিয়েই তাঁর প্রচার চলিয়ে যাচ্ছেন।
’ভোট লুট করে পঞ্চায়েত ভোটে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে’।এই কথা জনতা জনার্দনের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব যেন একাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন সত্তোরোর্দ্ধ কংগ্রেস নেতা প্রভাত দাস। ভয় ভীতির তোয়াক্কা না করে কট্টর এই কংগ্রেস নেতা ভোট লুট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করার কথা পোস্টার আকারে লিখে নিজের সাইকেলের সামনে লাগিয়েছেন। আর সেই সাইকেলে চেপেই তিনি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ঘুরে প্রচার করছেন। প্রভাত বাবুর সাফ কথা,’যতক্ষণ ধরে প্রাণ আছে এই কথা তিনি প্রচার করেই যাবেন’। বাহাত্তর বছর বয়সে ভাঙা পায়ে সাইকেল চালিয়ে কালনা থেকে কার্শিয়াং, হাজার কিমি পথ ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় অংশ নিয়ে প্রভাত বাবু প্রামাণ করে দিয়েছেন তিনি বায়রন বিশ্বাস নন ,তিনি একজন কট্টর কংগ্রেসি। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে প্রভাত দাস কালনা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১৯ নম্বর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রভাতবাবুর অভিযোগ, শুধু ভোটের দিনেই নয়, গণনার দিনেও রাজ্যের অন্য জায়গার মত কালনাতেও ভোট লুট হয়েছে। সেই লুটের ভোটের শিকার তিনিও হয়েছেন।
যদিও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রভাত দাসের কর্মকাণ্ড কে পাগলের কর্মকাণ্ড বলে কটাক্ষ করেছেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তি চাল। তিনি বলেন, ‘ওনার কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু দেখছি না। কালনাবাসী জানেন তৃণমূল সরকারের রাজত্বে কালনার কতটা উন্নয়ন হয়েছে, কালনার কত মানুষ জনহিতকর প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। সেই কারণে কালনাবাসীর ভোটেই তৃণমূলের প্রার্থীদের জয়জয়কার হয়েছে।’