কলকাতা: গত শুক্রবার বেহালায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। শিশু মৃত্যুতে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দা, অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। চাপের মুখে শুরু হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। তারই অংশ হিসেবে বেহালায় চলছে বুলডোজার অভিযান। জনগণের চলাচলের পরিসর প্রশস্ত করতে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ উচ্ছেদ করা হচ্ছে। রাস্তা দখল করে থাকা বাড়িঘরও ভাঙা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, এই বুলডোজার অভিযানের অংশ হিসেবে ভাঙা পড়তে পারে বেহালা ম্যান্টনের কাছে ‘বেআইনিভাবে’ তৈরি ফুটপাথ লাগোয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস। ২০০১ সালে বেহালা পশ্চিম থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন পার্থ। এরপরই ম্যান্টনে নিজের জনসংযোগ কার্যালয় তৈরি করেন পার্থ। জেলযাত্রার আগে পর্যন্ত সেখান থেকেই নিজের বিধানসভা এলাকার কাজকর্ম দেখতেন তিনি। পুরসভা সূত্রের খবর, জায়গাটি একপ্রকার ‘জবরদখল’ করেই নেওয়া হয়েছিল। এবার সেই অফিসও ভেঙে ফেলা হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করার সময় সাংবাদিকরা তাঁর অফিস ভেঙে ফেলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর না দিয়ে মাথা নীচু করে আদালতে ঢুকে যান পার্থ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পথ দুর্ঘটনায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার রোডের ফুটপাথ লাগোয়া এলাকা খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই প্রশাসনের নজরে পড়ে পার্থর জন্য তৈরি ঘরটি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শেষমুহূর্তে পরিকল্পনায় কোনও বদল না হলে ওই ঘরটি ভেঙে ফেলা হবে।