চালসা: মেটেলি ব্লকে এখনও হয়নি স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড। তাই জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কের ধারে ফেলা হচ্ছে নোংরা আবর্জনা। আর ওই আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছে পথচারী। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ওই আবর্জনার প্লাস্টিক গবাদি পশুরা খেয়ে যেমন অসুস্থ হচ্ছে, সমস্যায় পড়তে পারে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীরাও। চালসা-বাতাবাড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে খরিয়ার বন্দর জঙ্গলের সংরক্ষিত এলাকায় নতুন করে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। সড়কের ধারে অনেকটা অংশ জুড়ে পরে রয়েছে ওই নোংরা আবর্জনা। জাতীয় সড়ক দিয়ে রোজ কয়েক হাজার মানুষ সহ বহু পর্যটকের গাড়ি যাতায়াত করে। আবর্জনা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে পথচলতি মানুষ সহ পর্যটকরা। অনেকেই সকাল ও সন্ধ্যায় ওই এলাকায় হাঁটতে আসে। তারাও সমস্যায় পড়েন। এইভাবে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ধারে কিছু অসচেতন মানুষ ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসেবে বেছে নিচ্ছে। ওই সকল অসচেতন মানুষদের বিরুদ্ধে কড়া বাবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
চালসার পরিবেশপ্রেমী সুমন চৌধুরী বলেন, ‘জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ ওই জাতীয় সড়কের ধারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দেদারে ফেলা হচ্ছে নোংরা আবর্জনা। অথচ প্রশাসন কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। সড়কের অনেকটা অংশ জুড়ে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। মাঝেমধ্যে হাতির দলও ওই এলাকায় চলে যায়। আবর্জনার প্লাস্টিকের ফলে হাতি সহ গবাদি পশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। এলাকাটি বন বিভাগের চালসার রেঞ্জের অন্তর্গত। চালসার রেঞ্জার প্রকাশ থাপা বলেন, কিছু অসচেতন মানুষ লুকিয়ে ওই এলাকায় নোংরা আবর্জনা ফেলছে। কে বা কারা ওই এলাকায় আবর্জনা ফেলছে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ওই এলাকায় কেউ যাতে নোংরা আবর্জনা না ফেলে তার জন্য বন দপ্তরের তরফে সচেতনতামূলক বোর্ড লাগানো হবে।