উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় আগেই খুন ও সম্মিলিত অপরাধের ধারায় মামলা হয়েছিল। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে যাদবপুরকাণ্ডের শুনানির সময় ২০০০ সালে প্রবর্তিত পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান র্যাগিং নিষিদ্ধ আইনের ৪ নম্বর ধারা প্রয়োগের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। বিশেষজ্ঞ আইনজীবী মহলের মতে, র্যাগিংয়ের ধারা প্রয়োগের আবেদন জানিয়ে, পুলিশ কার্যত মৃত ছাত্রের র্যাগিংয়ের কথা স্বীকার করে নিল। পুলিশের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল জবাবের সময় ফের ধৃতদের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানানো হয়। যাদবপুরের ঘটনায় প্রাক্তনী ও পড়ুয়া মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তাদেরও যাদবপুর থানায় তলব করা হতে পারে পুলিশ সূত্রে খবর। তাদের জিজ্ঞাসবাদ করে নতুন তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে যায় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। ১০ অগাস্ট ভোরে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, র্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করে মৃত ছাত্রের পরিবার।