বর্ধমান: দিনেদুপুরে শক্তিগড়ে এক সোনার দোকানে শুটআউট। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পেটে গুলি চালিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। তড়িঘড়ি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় এর নেতৃত্বে শক্তিগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ দাস। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বৈকন্ঠপুরে। জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড়ের জোতরামে তাঁর দোকান। অন্যান দিনের মত এদিনও সকালে দোকান খোলেন সন্দীপ বাবু। বেলা ১১টা নাগাদ একটি বাইকে চেপে দুই যুবক তার দোকানের সামনে দাঁড়ায়। তাদের পড়নে ছিল কালো প্যান্ট ও সাদা জামা। চোখে ছিল রঙিন চশমা। দুই যুবকে মধ্যে একজন ক্রেতা সেজে সন্দীপ দাসের সোনার দোকানে ঢোকে। অপরজন দাঁড়িয়ে থাকে দোকানের বাইরে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কথা
অনুযায়ী দোকানের ভিতরে ঢোকা যুবক গয়না লুট করতে গেলে দোকান মালিক সন্দীপ দাস বাধা দেন। ওই সময়ে এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালায়। গুলির শব্দ পেয়ে পশাপাশি দোকানে থাকা লোকজন সেখানে গেলে তাদের বন্দুক দেখিয়ে ওই দুই দুষ্কৃতী এলাকা থেকে চম্পট দেয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দোকানেই লুটিয়ে পড়েন। এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, মাত্র পাঁচ মাস আগে ১ এপ্রিল ভর সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ল্যাংচার দোকানের সামনে শুট আউটের ঘটনা ঘটেছিল। ওই দিন জনবহুল ওই জায়গাতেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি চালিয়ে কয়লা কারবারী রাজু ঝা কে খুন করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। দক্ষ পুলিশ অফিসারদের নিয়ে গঠিত সিট খুনিদের নাগাল পেতে তদন্তে নামে। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও বিহারের পাশাপাশি প্রতিবেশী জেলার দুর্গাপুরে বিভিন্ন জায়গায় হানাদিয়ে সিটের তদন্তকারীরা বেশ কিছুদিন বাদে রাজু ঝা কে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। এর পর চলতি মাসের ১৩ তারিখ কেতুগ্রামে শুটআউটের ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় কেতুগ্রামের রাজুয়া গ্রাম নিবাসী ইটভাটা মালিক মির্জা সাহিদুল ওরফে বটুর শরীর। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুটআউটের ঘটনা নিয়ে চিন্তিত জেলা পুলিশ।