উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আমাদের শারীরিক সুস্থতার অনেকটাই নির্ভর করে মানসিক সুস্থতার ওপর। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে উৎকণ্ঠায় ভুগতে থাকলে তা শারীরিক অসুস্থতায় পরিণত হয়। সেভাবে কোনও সমস্যা না থাকলেও দেখা দিতে পারে জ্বরের উপসর্গ। কোনও কারণে দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলে বা ভয় পেলে অনেকেই জোরে জোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নেন। কারও বুকে চাপ লাগে, অস্বস্তি হয়। মাথা ঘোরা, গা গোলানো, ঘাম হওয়া, দম বন্ধ লাগা এগুলোও অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ। আসলে ভয় পেলেই মস্তিষ্কের রক্তে আপতকালীন হরমোন বা অ্যাড্রিনালিন বেশি পরিমাণে মেশে। তাই তখন রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক থাকলেও তখন শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হবে। এই ধরনের উদ্বেগ, সমস্যা থেকে দূরে থাকতে অনেকেই মনোবিদের পরামর্শ নেন। এছাড়াও নিয়ম করে যদি কয়েকটি যোগাসন করা যায়, তা হলে সুস্থ থাকা সম্ভব।
ধনুরাসন:
পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন, পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
পদহস্তাসন:
সোজা হয়ে দাঁড়ান। তার পর আস্তে আস্তে পা দুটো সামান্য ফাঁক করুন। এবার ভাল করে শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটো উপরের দিকে তুলুন। এ বার আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। হাতের সাহায্যে গোড়ালি স্পর্শ করুন। খেয়াল রাখবেন, হাঁটু যেন না ভাঙে। ২০-৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।
ভুজঙ্গাসন:
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এ বার মাথা তুলে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন।