উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কানাডার পর এবার তুরস্ক, রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে অস্বস্তি বাড়াল ভারতের। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের সভায় আচমকাই কাশ্মীর নিয়ে সরব হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোগান। দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা দূর করতে কাশ্মীরে ন্যায়ের পথে শান্তি প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি তুরস্কে ভূমিকম্পের পর দ্রুত ত্রাণ পাঠানো এবং ‘অপারেশন দোস্ত’–এর মাধ্যমে উদ্ধার কার্যে সহায়তার জন্য তিনি ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
রবিবারই অনন্তনাগে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে ভারতীয় সেনার দুই কর্তা সহ এক পুলিশ আধিকারিকের। পাঁচ দিন ধরে চলেছে সেনা ও জঙ্গির গুলির লড়াই। জঙ্গি সংগঠনটি পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তোইবা। এই লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে লস্কর কমান্ডার উজির খানের। এই ঘটনায় পাকিস্তান খুব বেশি গলা চড়ায়নি। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এমন সময় রাষ্ট্রপুঞ্জের ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনায় বিস্মিত ভারত।
এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় ভাষন দিতে গিয়ে এরদোগান বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর নিয়ে বিবাদ চলছে ভারত পাকিস্তানের। আর বিবাদ না বাড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা দরকার। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও কাশ্মীর নিয়ে ভারত বিরোধী মন্তব্য করেছে তুরস্ক। কাশ্মীরকে জেলখানার সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছে সেরাজ্যের ৮৯ লক্ষ মানুষের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
কূটনৈতিকমহল মনে করে, মোদির সঙ্গে তুরস্ক প্রধান এরদোগানের সম্পর্ক মধুর। দুজনের কার্যকলাপে মিল থাকায় পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে মোদি ও এরদোগানকে এক করে দেখানো হয়। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলেন তিনি। নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অন্তর্ভূক্তিকে সমর্থন করেছেন এরদোগান। তবে কেন হঠাৎ করে তিনি কাশ্মীর নিয়ে সরব হলেন, সেই বিষয়ই বোধগম্য হচ্ছে না নয়া দিল্লির। জি-২০ সম্নেলনে যোগ দিতে এসে মোদির সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, অসামরিক বিমান চলাচল এবং জাহাজ চলাচলের মতো সম্ভাবনাময় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি স্থান পায়।