হরিশ্চন্দ্রপুর: দীর্ঘদিন ধরে দিনমজুরি করে ব্যাংকে টাকা জমিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে একদিন ব্যাংকে গিয়ে ব্যালেন্স চেক করতে দেখেন, তাঁর জমানো টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা উধাও। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এবং থানাতে অভিযোগ দায়ের করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের মহাজানি মণ্ডল নামে ওই বৃদ্ধা। ব্যাংকের তরফে তদন্ত করে দেখা যায়, এই টাকা আধার-সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে আঙুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে তোলা হয়েছে। বিহারের একটি সিএসপি থেকে এই টাকা তোলা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমেছে ব্যাংক এবং পুলিশ।
হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা অঞ্চলের ট্যাংটা ঘাট এলাকার বাসিন্দা মহাজানি মণ্ডল। দিনমজুরি করে কোনওরকমে সংসার চালান তিনি। আর কিছু টাকা তিনি ভালুকা গ্রামীণ ব্যাংকে জমা করেন। মাসখানেক আগে ব্যাংকে বই আপডেট করতে গেলে তিনি দেখতে পান, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা কেউ বা কারা তুলে নিয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান। ব্যাংক খোঁজ নিয়ে দেখতে পায়, আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বিহারের জামুই জেলার সিকান্দারা শহরের ব্যাংকের একটি কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট থেকে এই টাকা তোলা হয়েছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ওই বৃদ্ধাকে সাইবার ক্রাইমে ব্রাঞ্চে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সাইবার বিশেষজ্ঞ দীপক দাস জানান, আধার-সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেমের অপব্যবহার করে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। বেশ কিছু উদাহরণ ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। গ্রামের মানুষ এ বিষয়ে সচেতন নয়। একমাত্র বায়োমেট্রিক লক থাকলেই এ ধরনের চুরির সম্ভাবনা থাকবে না।
বঙ্গীয় গৌড় গ্রামীণ ব্যাংকের ভালুকা শাখার ম্যানেজার শুভেন্দু দে জানান, ঘটনার অভিযোগ হয়েছে। সিস্টেম খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বিহারের এক জায়গা থেকে এই টাকা তোলা হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।