শিলিগুড়ি: কলেজে উপস্থিতির হার কম থাকায় প্রায় ৯০০ জন পড়ুয়া পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার অবস্থানে বসেন শিলিগুড়ি কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের বড় সংখ্যক পড়ুয়ার কলেজে উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই পড়ুযাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক অনার্সের এবং অধিকাংশ জেনারেল কোর্সে পাঠরত। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ওই দুই সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
যদিও পড়ুয়াদের বিষযটি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ সুজিত ঘোষ। তাঁর কথায়, যত বেশি সংখ্যক পড়ুয়াদের বসার সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই পড়ুয়ারা যাতে ভবিষ্যতে কলেজের ক্লাসে উপস্থিত থাকেন, সেজন্য তাঁদের কাছ থেকে মুচলেখা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যেই পড়ুযাদের উপস্থিতির হার একদমই খারাপ তাঁদের পরীক্ষায় বসার বিষয়টি কড়াভাবে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় ওই পড়ুয়াদের গত সিমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। তারপর থেকে ক্লাস শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পড়ুযাদের একাংশ দাবি তুলেছেন, ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও তাঁদের অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। ইতিহাস অনার্সের পঞ্চম সিমেস্টারের পড়ুয়া মামনি খাতুন, মহিমা খাতুন, ঋষিতা মহাজনের কথায়, চটহাটে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত কলেজে এসে ক্লাস করতেন। কিন্তু যেসব পড়ুয়ারা কলেজে অনুপস্থিত থাকতেন তাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলেও তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে। সমাজবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় সিমেস্টারের পড়ুয়া ইলরা দাসের বক্তব্য, অগাস্ট মাসের পর অধিকাংশ দিন কলেজ বন্ধ ছিল। কালীপুজোর পর গিয়ে কলেজ খুলবে। ক্লাস অনেক কম হয়েছে। পড়ুযাদের একাংশ আবার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অভিযোগ, শিক্ষকদের একাংশ মাঝে মধ্যে ক্লাস নেন না। যদিও সেই অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ মানতে রাজি নন।