নাগরাকাটা: হাতির হানাদারি নিত্যদিনের। তাও আবার যে সব স্থানে পুজো হয় সেখান দিয়েই। শনিবার রাতেও একটি ছটঘাটে বুনোদের দলটি ঢুকে পড়ে। তাই দুঃশ্চিন্তার অন্ত ছিল না। যে কারণে রবিবার বিকেল হতেই কড়া নজরদারি শুরু করে দেয় বন দপ্তরের ডায়না রেঞ্জ। একপাল হাতি জঙ্গল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের ঘুরিয়ে অন্য রুটে ঢুকিয়ে দেন বনকর্মীরা। অন্যদিকে, জলঢাকা নদীর ছটঘাটে নজর রেখে চলেন খুনিয়া রেঞ্জের কর্মীরা। সব মিলিয়ে হাতির হানা থেকে ভালোয় ভালোয় উতরে গেল রবিবার সন্ধ্যার অস্তগামী সূর্য আরাধনার এই মহান আস্থার পর্ব। ডায়নার রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, ‘সোমবার ভোর থেকেও একইভাবে কড়া নজরদারি থাকবে। এব্যাপারে কোথাও কোন ফাঁক রাখার প্রশ্নই নেই।’
ডায়না রেঞ্জের আওতাধীন লুকসানের কুজি ডায়নার তিনটি স্থানে ও নাগরাকাটা-বানারহাট ব্লকের সীমান্তে ডায়না নদীতে ছটপুজো হয়। সবকটিই মারাত্মক হাতি উপদ্রুত এলাকা। শনিবার রাতেও ক্যারন চা বাগান যাওয়ার রাস্তার পাশে শাল টুকরো ফরেস্ট লাগোয়া স্থানে কুজি ডায়নায় যে ছটঘাট রয়েছে সেখানে অন্তত ১৫টি হাতির একটি পাল চলে আসে। সেসময় সেখানে প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছিল। আগে থেকেই তৈরি থাকা ডায়না রেঞ্জের কর্মীরা হাতিগুলিকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
ডুয়ার্সে সবচেয়ে বড় ছটপুজোর আসর বসে ডায়না নদীর ঘাটে। সেখানে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়। পাশেই ডায়নার জঙ্গল। নদীবক্ষ দিয়ে হাতির পালের যাতায়াত হামেশাই। এদিন বিকেল থেকে ডায়না সেতুর পাশে বন দপ্তরের তরফে একটি গাড়ি রেখে দেওয়া হয় যে কোনওরকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য। ছটঘাটে খোদ রেঞ্জার সহ অন্য বনকর্মীরা নজর রেখে চলেন। অন্যদিকে, কুজি ডায়না নদীর ঘাটেও আরও একটি গাড়ি ছিল। সেখানেও বনকর্মীদের একটি দল মোতায়েন করা হয়। যদিও ঐরাবত বাহিনী কোনওরকম বিঘ্ন ঘটাতে হাজির হয়নি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বনকর্মীরাও।