নয়াদিল্লি: সংসদে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বলতে দিলেন না স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি জানান, মহুয়া আগে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই আবার তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে না। পুরোনো উদাহরণ টেনে এই যুক্তি দেন স্পিকার। মহুয়া বলার জন্য একাধিকবার উঠে দাঁড়ালেও তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে মহুয়াকে বলতে না দেওয়ায় তৃণমূলের তরফে বলতে শুরু করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আগে কী হয়েছে, তা এখন যুক্তি হতে পারে না। সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তিনি জানান, দর্শন হিরানন্দানির বয়ানই নেওয়া হয়নি। লোকসভার সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্পিকারের আর্জি, সকলে যেন তাঁদের প্রশ্ন নিজেই তৈরি করেন। অন্য কাউকে প্রশ্ন তৈরি করতে যেন দেওয়া না হয়। নিয়ম না মানলে পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেন স্পিকার।
‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ মামলায় এদিন মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। শুক্রবার দুপুর ১২টায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন কমিটির প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকার। এরপরই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। এর জেরে অধিবেশন দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। এদিন এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হতেই কার্যত ঝড় ওঠে লোকসভায়। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। পাশে দাঁড়ান ইন্ডিয়া জোটের শরিকরাও। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন করেন, ওই রিপোর্টের কপি সব সাংসদদের হাতে যাওয়ার পর সেটা নিয়ে আলোচনার জন্য অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। তারপর সেটা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করতে হবে। মহুয়াকেও বলার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু তৃণমূলের আবেদন সত্ত্বেও এদিন মহুয়াকে বলার সুযোগ দেননি স্পিকার।