গাজোল: খাতায়-কলমে বড়দিন আসতে এখনও এক সপ্তাহ বাকি। মূলত বড়দিন থেকেই পিকনিক-পার্টির ভিড় জমতে শুরু করে আদিনা ফরেস্ট সহ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। সেই সময় থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু এবার চিত্রটা অন্যরকম। শীত আসতেই ভিড় জমতে শুরু করেছে আদিনা মসজিদ, ইকোপার্ক, আদিনা ফরেস্ট সহ আদিনা পান্ডুয়ার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিতে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলিতে এই ভিড়ের পরিমাণ অনেকটা বেশি। মাঝে দু-একদিনের নিম্নচাপের বৃষ্টি উধাও হয়ে গিয়ে এখন আকাশ ঝলমলে। শীতের আমেজ গায়ে মেখে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলার অন্যতম পর্যটনস্থল আদিনা এবং পান্ডুয়াতে। তবে শুধু মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেই নয়, পার্শ্ববর্তী দুই দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদ থেকেও এসেছে বহু মানুষ।
এদিন আদিনা মসজিদ এলাকায় দেখা হয়ে গেল মুর্শিদাবাদের আহিরন থেকে পরিবারের সঙ্গে এসেছেন অরিন্দম সাহা। তাঁরা জানালেন, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন তাঁরা। বড়দিনের পর থেকে এই সমস্ত এলাকায় খুব ভিড় হয়, তাই একটু আগে থেকেই চলে এসেছেন। এর আগে তাঁরা ঘুরেছেন মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি সহ অন্যান্য জায়গা। তবে এখানকার আদিনা মসজিদ, গোলঘর সহ আদিনা ডিয়ার পার্ক ঘুরে দেখবেন তাঁরা। আদিনা ইকোপার্কে এসে খুব ভালো লাগল তাঁদের। খাওয়া দাওয়ার খুব সুন্দর ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। এখানেই দুপুরের খাবার খেয়েছেন। বিকেলে আদিনা ডিয়ার পার্ক ঘুরে ফিরে যাবেন বাড়িতে। অরিন্দমবাবু জানালেন, ঘুরে ঘুরে নিজে থেকেই জানার চেষ্টা করছি। তবে হাজারদুয়ারির মতো এখানে যদি গাইড রাখা হত, তাহলে খুব ভালো হত।
এদিন আদিনা মসজিদে ঘুরতে এসেছিলেন শিক্ষক গৌতম প্রামাণিক। তিনি জানালেন, এর আগে আদিনা মসজিদ ঘুরেছেন। এখন আগের তুলনায় অনেকটা সংস্কার করা হয়েছে আদিনা মসজিদের। প্রাচীন স্থাপত্যকে অক্ষুন্ন রেখেই গম্বুজগুলোকে মেরামত করে নতুনের মতো সাজানো হয়েছে। যদিও বারবার আসলেও ভালো লাগে এই আদিনা মসজিদে। আগে মসজিদের অনেক জায়গা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো সব মেরামত করার পর দেখতে খুব ভালো লাগছে। ডিসেম্বরের শেষে পর্যটকরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর ও পয়লা জানুয়ারিতে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে অনুমান করছি।
ভিড় বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে স্থানীয় দোকানগুলিতে বিক্রির পরিমাণও। ফাস্টফুড সহ নানা ধরনের খাবারের দোকান রয়েছে আদিনা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়। ঘুরে ফিরে পর্যটকরা আসছেন সেই সমস্ত দোকানে। কিনছেন তাঁদের পছন্দসই খাবার। বিক্রি বাড়তে শুরু করায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি দোকানদারেরা।