খড়িবাড়ি: খড়িবাড়ি ব্লকে (Kharibari news) বালি-পাথর পাচারের (smuggling) অভিযোগ তুলে সরব হলেন বাতাসি (Batasi) এলাকার তৃণমূল (Trinamool congress) কর্মীরা। রবিবার ৩২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে বিহারগামী ওভারলোড ডাম্পার আটকে বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা। অভিযোগ, আটক ডাম্পারগুলির কোনও রয়্যালিটি ছিল না। এছাড়া প্রত্যেকটি ডাম্পার ওভারলোড। গতকাল দুটি ওভারলোড ডাম্পার আটক করা হয়।
পানিট্যাংকি (Panitanki) ও নকশালবাড়ি (Naxalbari) এলাকায় বেশ কয়েকটি অবৈধ বালি-পাথর মজুতের ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করেছে বালি মাফিয়া চক্র। আর এর পেছনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে বারবার অভিযোগ উঠে আসছিল। দিনভর নেপাল সীমান্তের মেচি নদী থেকে ট্রাক্টরে বালি-পাথর তুলে এশিয়ান হাইওয়ের পাশে মজুত করা হয়। সন্ধ্যা হলেই তা অর্থমুভার দিয়ে ডাম্পার ওভারলোড করে ৩২৭ জাতীয় সড়ক দিয়ে বিহারে পাচার করা হয়।
এবিষয়ে আন্দোলনকারী তৃণমূল যুব কংগ্রেসের খড়িবাড়ি ব্লক সহসভাপতি অমৃত মণ্ডলের দাবি, এটা কোনও রাজনৈতিক বিক্ষোভ নয়। বাতাসি এলাকার যুব সমাজ এই অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। অবৈধভাবে শতাধিক ওভারলোডিং ডাম্পার রয়্যালটি ছাড়া রাতভর রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এভাবে পাথর পরে রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে এবং দুর্ঘটনাও ঘটছে। দ্রুত প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন অমৃত।
গতকাল ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের খড়িবাড়ি ব্লক সভাপতি মুকুল সরকার। তাঁর দাবি, তৃণমূল বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত নয়। কিংবা বালি মাফিয়াদের দলের তরফে মদতও করা হয় না। তাই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীরাই বাধ্য হয়ে এই অবৈধ কারবার প্রতিরোধ করতে আন্দোলনে নেমেছেন। শুধু তৃণমূলকে বদনাম করা হয়। তাঁর কথায়, প্রশাসন এই অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। খবর পেয়ে গতকাল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খড়িবাড়ি পুলিশ (Kharibari police)। তবে অন্ধকারে পালিয়ে যায় ডাম্পার চালকরা। খড়িবাড়ি পুলিশ ডাম্পারগুলি হেপাজতে নিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।