হরিশ্চন্দ্রপুর: হরিশ্চন্দ্রপুরে বি-ব্লকে অনুষ্ঠিত হল ব্লক কনভেনশন। আর এই ব্লক কনভেনশনেই হুমকির সুর শোনা গেল শাসকদলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সির গলায়। শনিবার কনভেনশনের প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তিনি এলাকার কংগ্রেস, সিপিএম নেতাদের ঘরছাড়া এবং গ্রামছাড়া করার হুঁশিয়ারি দিলেন। রহিম বক্সির দাবি, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষদের হকের টাকা আটকে রেখেছে। কেন্দ্রের বঞ্চনার জন্য রাজ্যের উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। আর রাজ্যের সিপিএম কংগ্রেস নেতৃত্ব চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখছে এবং পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সমর্থন করছে। এদেরকে এলাকায় দেখলে গ্রামছাড়া করতে হবে ঘরছাড়া করতে হবে।
এদিন কনভেনশনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রহিম বক্সি বলেন, ‘রাজ্য বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করছে। আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যকে বঞ্চনা করে চলেছে ক্রমাগত। ১০০ দিনের টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নানা অজুহাতে আটকে রেখেছে। আর এই নিয়ে প্রতিবাদ একমাত্র তৃণমূল নেতৃত্ব করে আসছে। কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেস এ ব্যাপারে চুপ। তারা প্রকারান্ত বিজেপির এই নোংরা রাজনীতিকে সমর্থন করছে।‘ পাশাপাশি তিনি নাম না করেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মীরজাফর বলেও তোপ দাগলেন।
এদিকে রহিম বক্সির এই বক্তব্যের জবাবে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস জানান, দলের উচ্চ নেতৃত্ব এবং মন্ত্রীরা একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে। এদেরকে কয়দিন পর মানুষ এলাকা ছাড়া করে দেবে। সিপিএম প্রত্যেকটি সমাবেশে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছে। এমনকি এই নিয়ে আদালতেও তারা মামলা করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও লোকসভার সদস্য বা তৃণমূল নেতৃত্ব এই নিয়ে লোকসভায় কোনরকম প্রতিবাদ জানায়নি। আসল দুর্নীতিগ্রস্ত কারা সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক প্রেসিডেন্ট বিমানবিহারী বসাক জানান, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। কংগ্রেস দেশজুড়ে বিজেপির জনবিরোধী নীতিগুলির প্রতিবাদ করে আসছে। কে কাকে ঘর ছাড়া গ্রাম ছাড়া করবে এটা মানুষই বলবে। যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের মুখে এইসব বড় বড় কথা মানায় না।
প্রসঙ্গত, এদিনের ব্লক কনভেনশনে ওই এলাকার তৃণমূল বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষ অনুপস্থিত ছিলেন। তা নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দলের জল্পনা শুরু হয়েছে।