হিলি: বালুরঘাট হিলি রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পুনরায় শুভারম্ভ করলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। রবিবার দুপুরে হিলির মেরা আপ্তৈর এলাকায় যমুনা নদীর পাড়ে নির্মীয়মাণ সেতু সংলগ্ন এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ওই কাজের সূচনা করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার, ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার আনন্দ প্রকাশ প্রমুখ।
দীর্ঘ আন্দোলনের পরে ২০১০ সালে বালুরঘাট(Balurghat) থেকে হিলি(Hili) পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজের শুরু হয়। কিন্তু জমিজটে ওই প্রকল্প থমকে যায়। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পুনরায় ওই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। সেপ্টেম্বরে জমি অধিগ্রহণের জন্য ২৯৮ কোটি টাকা রাজ্য সরকারকে মঞ্জুর করে রেল। অক্টোবরে জমি অধিগ্রহণের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রস্তাবিত অর্থ বরাদ্দের পরেও রেলকে জমি হস্তান্তর করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাণিজ্যিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষার কারণে হিলি রেলপথ নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগী রেল। সেপ্টেম্বরের ৫০ কোটি টাকার সেতু নির্মাণের বরাত সম্পন্ন করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশন। তারপরে জমির জন্য কাজ শুরু করতে পারছিল না রেল। তবে সেতুর নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় রেলের আধিকারিকেরা। তাই দ্রুত ওই কাজ শুরু করছে রেল। তাই রবিবার একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুভারম্ভ করলেন সাংসদ।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে ওই প্রকল্পের কাজ থমকে ছিল। আমাদের প্রচেষ্টায় এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য ২৯৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ৫৫ কোটি টাকার সেতু নির্মাণের জন্য বরাত হয়েছে। দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পে টাকার জন্য কোনও অভাব নেই। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জেলার উন্নতি সম্ভব হবে। নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।‘