রায়গঞ্জঃ “মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) নিজে আমাকে ফোন করেছিলেন। আজকের মিটিংয়ে থাকার জন্য বলেছিলেন। তাই এসেছি।” মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhuri)। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আসার অনেক আগেই সভাস্থলে চলে আসেন আব্দুল করিম চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী আসার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে দেখা যায় করিম সাহেবের সঙ্গে তাকে কথা বলতে। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর ডান দিকে বসেন করিম চৌধুরী এবং ডান দিকে বসেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। করিম সাহেবের পাশেই ছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়ালা। সভার শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মহাত্মা গান্ধিকে শ্রদ্ধা জানানোর পর আব্দুল করিম শ্রদ্ধা জানান।
করিম চৌধুরী এতদিন নিজেকে বিদ্রোহী বিধায়ক হিসেবে দাবি করতেন, কিন্তু এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাওয়ার পর আর নিজেকে বিদ্রোহী বলতে চাননা। পাশাপাশি ইসলামপুরকে আলাদা জেলার দাবিও তার মুখে এদিন শোনা যায়নি। তবে ইসলামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেন এবং জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়ালাকে নিয়ে কোনও বিরুপ মন্তব্য করেননি করিম সাহেব। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন দেখা যায়, কানাইয়া ও করিমের মধ্যে কথা বলতে।
করিম বলেন, “আমি আগের মমতাকে খুঁজে পেলাম। খুব হ্যাপি লাগছে আজকে। আমার ক্ষোভ ছিল না, উনি আমাকে আসার জন্য ফোন করেছিলেন। সে যেহেতু আমাদের নেত্রী তাই আসতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে সম্মান দিলেন আজ। এরকম থাকলে কোনো সমস্যা নেই। পাঁচ বছর পর মমতাকে বললাম। উনি বললেন, আমি সব খবর রেখেছি। উনি আমার নেত্রী। নেত্রীকে সম্মান দেওয়া কর্তব্য। তিনি বলেন, কানাইয়া যদি ডাকেন তবে এক সঙ্গে কাজ করব। আমি বিধায়ক আছি, ওনাকে সেটা মানতে হবে।” জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়ালার দাবি, “উনি আমাদের দলের বিধায়ক। ওনার সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই।”