শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে চিকিৎসা গবেষণায় গতি আনতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখানকার চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গবেষণায় উৎসাহিত করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টারিক ডিজিজ (নাইসেড) কাজ শুরু করল। বৃহস্পতিবার থেকে মাল্লাগুড়ির একটি হোটেলে দু’দিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সহ দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির কয়েকটি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং ডাক্তারি পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছেন।
নাইসেডের ডিরেক্টর ডাঃ শান্তা দত্ত বলেন, ‘কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথ উদ্যোগে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে মডেল রুরাল হেলথ রিসার্চ ইউনিট হচ্ছে। এই গবেষণাকেন্দ্র থেকে উত্তরবঙ্গের স্থানীয় রোগ নিয়েও কাজ হবে। গবেষণাকে শুধু ল্যাবরেটরি নির্ভর না রেখে চিকিৎসকদেরও এই বিষয়ে পারদর্শী করতে হবে।’ এখানকার মানুষের ফুসফুসের সমস্যা বুঝতে পালমোনারি ফাংশন টেস্ট (পিএফটি) নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) উদ্যোগে এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় নাইসেড উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করছে। ২০১৬ সালে অনুমোদন পাওয়া এই গবেষণাকেন্দ্র তৈরির জন্য দেরিতে হলেও নাইসেডকে জায়গা দেওয়ায় ডিরেক্টর ডাঃ শান্তা দত্ত খুশি। ভবন হস্তান্তরের পর প্রায় ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় পূর্ত দপ্তর (সিপিডব্লিউডি) এখনও কাজ শুরু না করায় বিতর্ক রয়েছে। নাইসেডের তরফে এই গবেষণাকেন্দ্রের নোডাল অফিসার ডাঃ সন্দীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ওই কাজ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।’
ভবন পুরোপুরি তৈরি না হলেও নাইসেড কাজ শুরু করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ইন্দ্রনাথ ঘোষ এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গবেষণা মানেই বাতানুকূল ঘরে বসে কাজ করা নয়। ছোট ছোট প্রচুর সমস্যা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেই চা বাগান শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সহ প্রচুর সমস্যা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা করতে গিয়ে এতদিন আমাদের গবেষণার তেমন সুযোগ ছিল না। এলাকাভিত্তিক রোগের গতিপ্রকৃতি বুঝে চিকিৎসার জন্য গবেষণা আবশ্যক। এখানে গবেষণার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় রোগনির্ণয়, চিকিৎসার ক্ষেত্র আরও উন্নত হবে।’