সিতাই: বিরলতম রোগের (Rarest Disease) শিকার সীমান্তের আট বছরের শিশু। বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে গিয়েও হয়নি কোনও লাভ। চিকিৎসা নেই বলে তার বাবা মাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল। এই পরিস্থিতেতে সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে তাঁর অভিভাবকেরা।
কোচবিহার জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সিতাই ব্লকের ছাঁট সিঙ্গিমারি গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়াঁর ছেলে মান্নান মিয়াঁ। চার বছর বয়সেই তাঁর হাঁটাচলার সমস্যা দেখা দেয়। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Health Centre) চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত না থাকায় মান্নানকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে ‘ডুশেন মাসক্যুলার ডিসট্রফি’ (Duchenne Muscular Dystrophy) হয়েছে তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগ নিরাময়ের ওষুধ (Medicine) এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে পেশায় ভুটভুটি চালক দুলাল মিয়াঁ বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে যান। কিন্তু কোথাও উপযুক্ত চিকিৎসা মেলেনি বলে তিনি জানান। দুলালের আক্ষেপ, ‘এত উন্নত এই দেশে কেন আজ পর্যন্ত এধরনের রোগ নির্মূলের ওষুধ তৈরি হল না!‘
দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার রঞ্জিত মন্ডল জানান, ‘বিরলতম এই জিনঘটিত রোগ (Genetic Disease) মূলত পুত্র সন্তানেরই হয়। পেশীতে সংক্রমণের জেরে ধীরে ধীরে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজকর্ম ব্যাহত হতে থাকে।‘ অসহায় ওই দম্পতি সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে তাদেরকে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।