জলপাইগুড়ি: ট্রেন দুর্ঘটনায় হাতিমৃত্যু (Elephant Death) আটকাতে চলতি বছরেই বক্সা (Buxa) ও চাপড়ামারি (Chapramari) বনাঞ্চল সংলগ্ন রেললাইনে এলিসেন্স টেকনলজি (EleSense technology) বসানো হবে। ইতিমধ্যেই ডুয়ার্সের মোরাঘাট, রেডব্যাংক, ডায়না, দেবপাড়া এলিফ্যান্ট করিডর জোনে এলিসেন্স প্রযুক্তিতে রেললাইনে ডিভাইস বসিয়ে হাতিমৃত্যু ঠেকানো গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রক, রেল এবং রাজ্য বন দপ্তরের সহযোগিতায় এই প্রকল্পে ভয়েস অফ এশিয়ান এলিফ্যান্ট সাপোর্ট নামে আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্থ বিনিয়োগ করছে। এদিন জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে এলিসেন্স প্রযুক্তি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনটি সংস্থা। স্ন্যাপের কৌস্তভ বাগচী, প্রদ্যুৎ রায় সহ নেচার মেটের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। ট্রেনে কাটা পড়ে হাতিমৃত্যু নিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
পশ্চিমবঙ্গে ট্রেনে কাটা পড়ে হাতিমৃত্যু আটকাতে এই সংস্থা ২৫০ হাজার আমেরিকান ডলার খরচ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে সাপোর্ট গ্রুপের হস্তী বিশেষজ্ঞ সংগীতা আয়ার জানিয়েছেন। রেল ও বন দপ্তরের সহযোগিতায় এই আন্তর্জাতিক সাপোর্ট গ্রুপকে সাহায্য করছে এই রাজ্যের দুই সংস্থা স্ন্যাপ এবং নেচার মেট। সংগীতার দাবি, তাঁরা মোরাঘাট, রেডব্যাংক, ডায়না ও দেবপাড়ায় এই এলিসেন্স ডিভাইস বসিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় হাতির মৃত্যু আটকাতে পেরেছেন। এই ডিভাইসের ক্যামেরায় ধরণীপুরে ৭৬, দেবপাড়ায় ১২, ডায়না এলাকায় ৪, রেড ব্যাংকে নয়বার হাতি রেললাইনে চলে আসার সময় ছবি উঠেছে। ট্রেনের চালক ও বন দপ্তরকে সতর্ক করা হয়েছে।
এই ডিভাইসে সাইরেন, লাইট ও জিপিএস রয়েছে। মুহূর্তে রেলস্টেশন, চালক, বন দপ্তরের কাছে রুট, ছবি ও মেসেজ চলে যায়। ফলে হাতিমৃত্যু আটকে তাঁরা সাফল্য পেয়েছেন। এখন বক্সা ও চাপড়ামারি এলাকায় রেললাইনে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আলিপুরদুয়ারের রেলের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম জানান, প্রথম ধাপে ডিভাইস বসানোর কাজ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও শুরু হবে দ্রুত।