কিশনগঞ্জঃ সম্প্রতি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দুটি হাতি চলে গিয়েছিল বাংলাদেশে। সেই দেশ থেকে ফেরাতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি ভারতের বনকর্মীদের। এবার সীমান্ত পেরিয়ে নেপালের হাতি হামলা চালাল কিশনগঞ্জ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী আটগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তলোয়ার বাঁধা গ্রামে। মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে হামলা চালায় হাতিরপাল। পালে ছোট বড় মিলিয়ে কমপক্ষে ১০টি হাতি ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। লোকালয়ে ঢুকে হাতিগুলি ভেঙে দেয় গ্রামের বেশ কয়েকটি কাঁচা-পাকাঘর। তছনছ করে কয়েক বিঘা ভুট্টার খেত। রাতভর লোকালয়ে দাপিয়ে বুধবার সকালে হাতিরপালটি আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী বালুবাড়ি গ্রামের একটি ভুট্টা খেতে। দিনভর হাতি গুলির ওপর নজরদারি চালায় বনদপ্তরের কর্মীরা। সন্ধ্যা নামতেই হাতিগুলিকে নেপালে ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই সময়ে প্রতিবছরই ভুট্টার লোভে সীমান্ত পেরিয়ে হাতির পাল চলে আসে কিশনগঞ্জ লাগোয়া সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন রাতে হাতি ভেঙে দেয় তলোয়ার বাঁধা গ্রামের বাসিন্দা জালিম হরিজনের পাকা ঘর। ঘরের দেওয়াল ভেঙে সাবাড় করে ঘরে মজুত থাকা ভুট্টা, ধান, চাল। রেহাই পায়নি এলাকারই বাসিন্দা সুন্দর লাল সিংয়ের মুদির দোকান। সেই দোকানের দেওয়াল ভেঙে সবকিছু খেয়ে তছনছ করে। বুধবার সকাল হলে হাতিগুলি য়াশ্রয় নেয় বালুবাড়ি এলাকার কৃষক প্রকাশ সিং, আচারু সিং, হাইদুল রহমানের ভুট্টার খেতে।
এই পঞ্চায়েতের প্রধান তনবীর আলম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত নয়টা নাগাদ হাতির দলটি গ্রামে প্রবেশ করে ও বুধবার সারাদিন পাশের গ্রাম বালু বাড়ির ভুট্টার খেতে রয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই গ্রামবাসীরা আগুন জ্বালিয়ে, বাজি পটকা ফাটিয়ে নেপালের জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হাতি গুলিকে ফেরানো সম্ভব হয়নি।