উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুই যাত্রী ঘরে ফিরলেন নির্বিঘ্নেই। ওডিশা পুলিশ ফোন করে দুই যাত্রীর পরিবারকে জানিয়েছিল নিখোঁজের খবর। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই উৎকণ্ঠায় কেটেছে শনিবার সারাদিন। রবিবার ভোরেই উচ্ছ্বাসের চেহারা নিল সেই দুই পরিবারে৷ করমণ্ডল দুর্ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে নিখোঁজ অসমের দুই যুবক ফিরে এসেছেন নিজগৃহে৷
রবিবার সকালে অসমের ওদালগুড়ি জেলার কলাইগাঁওয়ের বাড়িতে হাজির হলেন হাফিজুল রহমান ও শামু আলি৷ মুহূর্তে বাড়ির দৃশ্য বদলে গেল৷ শনিবার ওডিশার পুলিশ ফোন করে এই দুই যুবকের পরিবারে জানিয়েছিল বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ। খুজে পাওয়া যায়নি অভিশপ্ত কোচে। কোচের ভিতরে পাওয়া ব্যাগের ভেতরে থাকা মোবাইল থেকে বাড়ির নম্বর পেয়েছেন তাঁরা। এর পরেই শুরু হয় কান্নাকাটি৷ টিভি খুলে পরিবারের সদস্যরা দেখছিলেন লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত, বুঝে উঠতে পারছিলেন না৷ রবিবার সকালে ওদালগুড়ি জেলার কলাইগাঁওয়ের বাড়িতে হাজির হলেন হাফিজুল রহমান ও শামু আলি৷ মুহূর্তে বাড়ির দৃশ্য বদলে গেল৷
বাড়ি ফিরে হাফিজুল রহমান জানান, ‘‘প্রবল ঝাঁকুনিতে আমাদের কামরাটি ছিটকে পড়ে৷ চার দিকে কান্নাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচি৷ আমি ও শামু জানালা দিয়ে কোনওক্রমে বেরিয়ে যাই৷ কয়েক জনকে উদ্ধারও করি৷ ঘটনার সময় ট্রেনের চার্জার পয়েন্টে একটি মোবাইল লাগিয়ে রেখেছিলাম৷ আর একটি ছিল ব্যাগে৷ ব্যাগে ২০ হাজার টাকাও ছিল৷ কিন্তু দুর্ঘটনার পর ব্যাগটি খুঁজে পাইনি৷ পকেটে এক হাজার টাকা ছিল বলে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পেরেছি৷ হাফিজুল জানান, পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ ছিল যে, তাঁরা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন৷ পরে অন্যদের সহায়তায় বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে বাসে চড়ে হাওড়ায় চলে আসেন৷ সেখান থেকে রেলে বাড়ি ফেরেন৷
হাফিজুলের অনুমান, রেল পুলিশ ব্যাগটি খুঁজে পেয়ে মোবাইল বার করে বাড়িতে ফোন করেছে৷ এখন অবশ্য হারানো ব্যাগ বা ২০ হাজার টাকা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই৷ তাঁরা সুস্থ সবলভাবে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন এটাই যথেষ্ট।