রায়গঞ্জ: গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলেন যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক (Cop)। ২০২৩ সালে রায়গঞ্জের (Raiganj) এক যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এএসআই পদমর্যাদার জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের হতেই তাঁকে বালুরঘাটের থানায় বদলি করে দেওয়া হয়। আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে। সম্প্রতি ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আদালত। এরপরই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক। সোমবার তাঁকে রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জুয়েল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবতীর সঙ্গে একাধিকবার সহবাসও করেন। পরে ওই যুবতী বিয়ের কথা বললে তা নাকচ করে দেন অভিযুক্ত। এমনকি, বিয়ে করতে জোর করায় মেয়েটিকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। ২০২৩-এ ওই যুবতী জানতে পারে, জুয়েল বিবাহিত এবং তাঁর সন্তানও রয়েছে। এরপরেই রায়গঞ্জ মহিলা থানায় জুয়েলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী।
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা, হুমকি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।