শামুকতলা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee) চা শ্রমিকদের জমির অধিকার দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সরকারি প্রকল্পে ঘর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। বেশ কিছু চা বাগানের শ্রমিকরা ইতিমধ্যে জমির পাট্টা ও ঘর তৈরির টাকাও পেয়েছেন। কিন্তু কুমারগ্রাম (Kumargram) ব্লকের তুরতুরি চা বাগানের (Turturi Tea Garden) ১৩০ জন চা শ্রমিক এখনও জমির পাট্টা পাননি। ফলে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
ওই চা বাগানে ৫০১ জন স্থায়ী শ্রমিক আছেন। এরমধ্যে স্থায়ী বাসিন্দা অন্তত এক হাজার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বেশিরভাগ চা শ্রমিক পরিবারকে জমির অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং ঘরের টাকাও মিলেছে। কিন্তু ১৩০ জন শ্রমিক সরকারি প্রকল্পের ওই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁরা অবিলম্বে জমির পাট্টা ও ঘর তৈরির টাকা দেওয়ার দাবি তুলেছেন। সোমবার এব্যাপারে তাঁরা ভূমি রাজস্ব দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে এই দাবি জানান।
এব্যাপারে কুমারগ্রামের বিডিও (BDO) গৌতম বর্মন বলেন, ‘কেউ বাদ পড়ার কথা নয়। সবাই পাট্টা পাবেন। ১৩০ জন কেন পেলেন না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি বিনোদ মিঞ্জ জানান, কোনও চা শ্রমিকই জমির পাট্টা থেকে বঞ্চিত হবেন না। এব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি জেলা প্রশাসন ও ভূমি দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা প্রয়োজনীর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এপ্রসঙ্গে সিটুর আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ জানান, সমীক্ষার কথা সেভাবে প্রচার না করায় ওই শ্রমিকরা সেসময় হাজির ছিলেন না। ফলে ওই ১৩০টি পরিবার জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের জমির অধিকার ও ঘর তৈরির টাকা দেওয়া হোক।
ওই চা বাগানের শ্রমিক নির্মলা মিঞ্জ জানান, মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু চা শ্রমিকদের সবার জন্য এই সুবিধা ঘোষণা করেছেন, তাই ১৩০ জন কেন বঞ্চিত হবেন? আমরা চাই সমস্ত শ্রমিক জমির পাট্টা পান।