উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গতকালই হাইকোর্টের (Kolkata High Court) তরফ থেকে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যে সন্দেশখালির বেতাজবাদশা শাহজাহান শেখকে (Shahjahan Sheikh) তুলে দিতে হবে সিবিআইয়ের হাতে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শাহজাহানকে থেকে সিবিআইয়ের হাতে দেয়নি ভবানী ভবন। এই আবহে আজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন করল ইডি।
এদিকে আজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম অনুপস্থিত আদালতে। এই আবহে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। এই আবহে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন জানান, নিয়ম মাফিক এই মামলা প্রধান বিচারপতির এজলাসেই করা উচিত। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার অনুমতি দেন বিচারপতি ট্যান্ডন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপরে হামলার ঘটনার ৫০ দিন পর গ্রেপ্তার হন তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। পুলিশের দাবি, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মিনাখাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাহজাহানকে। তবে শাহজাহানকে নিয়ে প্রথম থেকেই চরম গোপনীয়তা রক্ষা করে এসেছে পুলিশ। এই আবহে শাহজাহানকে ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতে পাঠিয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। গ্রিন করিডর করে শাহজাহানকে ভবানী ভবনে নিয়ে আসে পুলিশ। তবে ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে যায়। তবে হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও সিআইডি শাহজাহানকে ছাড়তে নারাজ। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে এই অজুহাত দেখিয়ে সিবিআইকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে আজ সকালে শাহজাহান শেখের মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেও জোর ধাক্কা খায় রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত মামলার পিটিশন দাখিল করেছেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এর আগে গতকালও সুপ্রিম কোর্টের সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মৌখিক ভাবে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে গতকাল সেই মামলা শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে আজ পিটিশন দাখিল করা হয় শীর্ষ আদালতে। তাও সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ সেই মামলা শুনতে চায়নি। এই আবহে আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। ফলে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া ছাড়া আরও কোনও পথই থাকল না রাজ্যের হাতে।