শিলিগুড়িঃ একদিকে যখন কাওয়াখালিতে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জনসভা চলছে, অন্যদিকে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে গলা ফাটালেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম (Md. Selim)। শনিবার দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার নেতা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শিলিগুড়ির অদূরে ফুলবাড়ির জটিয়াকালিতে এক নির্বাচনী জনসভার ডাক দিয়েছিল সিপিএম। এই সভার প্রধান বক্তা ছিলেন মহম্মদ সেলিম। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল বিজেপি ও তৃণমূলের তীব্র নিন্দা করেন।
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা যেমন রেল, ব্যাংক, বীমা, বিএসএনএলকে বেসরকারি হাতে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। করোনাকালে নরেন্দ্র মোদির ডাকে পিএম কেয়ার ফান্ড গঠন করা হয়েছিল। সেই ফান্ডে জমা পড়েছে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা। অথচ সেই টাকার কোনও হিসেব দিচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদি। সেই টাকা কোথায় গিয়েছে বলতে হবে।’ গত ২০১৪ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের জনগণনা অর্থাৎ সেনসাস বন্ধ রয়েছে কেন সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সেলিম।
এদিনের সভা থেকে জনধন যোজনা, বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরত নিয়ে আসা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন সিপিএম নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বহু প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। সেসব প্রকল্পের বেশিরভাগ বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন সেলিম।
অন্যদিকে দলের আরেক রাজ্য কমিটির সদস্য জিয়াউল আলম এদিন দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দেন। তাঁর বলেন, ‘তৃণমূলের যে সকল নেতারা দুর্নীতি করছেন শুধরে যান। অথবা ভালোয় ভালোয় জেলে ঢুকে যান। তা না হলে এরপর জনগণ সন্দেশখালীর মতো রাস্তায় দৌড়ে পেটাবে।’ এছাড়াও এদিন রাজ্য ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেন সিপিএম নেতারা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার, দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য প্রমূখ।